‘সরকারি ধরনা নয়, দলের অবস্থান বিক্ষোভ’, মমতা
নিউজ ডেস্ক : সরকারি প্রতিবাদ সভা নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচালনায় এই অবস্থান বিক্ষোভ হচ্ছে। সেকরণেই মঞ্চে দলীয় প্রতীক। কোনও সরকারি টাকা ব্যবহার করে এই অবস্থান বিক্ষোভ হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন যেহেতু তিনি এবং তাঁর দলের অনেক নেতাই রয়েছেন সরকারি পদে। সেকারণে দল এবং সরকার এক হয়ে গিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার মামলা রয়েছে বম্বে হাইকোর্টে। সেই মামলা খারিজ করার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বম্বে হাইকোর্ট তার আর্জি খারিজ করে দেয়। কাজেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা বহাল রইল আদালতে। রাহুল গান্ধীর ঘটনার পরে এই অবমাননার মামলা নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে তৃণমূল কংগ্রসও। মহারাষ্ট্রও এখন বিজেপি শাসিত রাজ্য। রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল যে রাজ্যে সেটিও ছিল বিজেপি শাসিত রাজ্য।
বম্বে হাইকোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা দােয়র হয়েছে। মুম্বই সফরের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করে বিজেপি। মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ গুপ্তা অভিযোগ করেিছলেন, জাতীয় সঙ্গীত যখন গাওয়া শুরু হয় তখন মঞ্চে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই তিনি হঠাৎ মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। এতে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন পাঠানো হয়।
প্রথমে এই মামলায় মুম্বইয়ের এর একটি ম্যাজিস্ট্রেস কোর্ট সমন পাঠায় কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতে জানায়, কোনও সরকারি পদাধিকারীকে সমন পাঠাতে গেলে অনুমোদন নেওয়া জরুরি। কিন্তু সেই অনুমোদন না নিয়েই ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সময় পাঠিয়েছিল। তারপরেই সেই সমন খারিজ হয়ে যায়। এদিকে এই মামলা খারিজ করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারপতি অমিত বোরকারের সিঙ্গল বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দেয়।
মোদী পদবী নিয়ে কটাক্ষ করায় রাহুল গান্ধীকে মানহািনর মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে সুরাত আদালত। তারপরেই বম্বে হাইকোর্টে তড়িঘড়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে করা অবমাননার মামলা খারিজ করার আবেদন জানানো হয়। রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে সেই মামলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যাতে সেরকম কোনও ঘটনা না ঘটে সেকারণে আগে থেকেই তৎপর।