শান্তিপূর্ণ ভোট করতে শুরু অশান্তির জায়গা চিহ্নিতকরণ
নিউজ ডেস্ক : ভোটের দিনের গোলমালের নিরিখে শহরের কুখ্যাত এলাকাগুলি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করল কলকাতা পুলিশ। তার ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশনে বিস্তারিত পরিকল্পনার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলে খবর। তালিকায় উপরের দিকে রাখা হয়েছে ২০১৫ এবং ২০১০ সালের পুরভোটের দিন গন্ডগোলের দিক থেকে শিরোনামে উঠে আসা এলাকাগুলিকে। তালিকা ধরে ধরে ওই সব এলাকার বুথগুলিকে স্পর্শকাতর এবং অতি স্পর্শকাতর, এই দু’ভাগে ভাগ করে এখন থেকেই সংশ্লিষ্ট থানার ওসিদের নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।
ভোটের দিন রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ মিলিয়ে মোতায়েন থাকবেন ২৩ হাজার কর্মী। অতি স্পর্শকাতর এবং স্পর্শকাতর বুথের দায়িত্বে থাকবে ডিসি-র নেতৃত্বাধীন কলকাতা পুলিশের বিশেষ দল। ৭৮টি কুইক রেসপন্স টিমের (কিউআরটি) পাশাপাশি রাখা হচ্ছে ৩৫টি হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস)। ২৫ শতাংশ বুথে থাকছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে থানার ওসিদের নিয়ে বৈঠকে পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র বলে দিয়েছেন, এখন থেকেই ওসিদের নিজেদের এলাকার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বা বুথ ঘুরে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া যাতে শান্তিতে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বার মোট বুথের সংখ্যা ৪৭৪২। অতিরিক্ত বা অগজ়িলিয়ারি বুথ থাকছে ৩৮৫টি। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১৫ সালের পুরভোটের দিন সব চেয়ে বেশি গোলমালের অভিযোগ এসেছিল বন্দর এলাকা এবং উত্তর কলকাতা থেকে। গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ, ওয়াটগঞ্জ এবং পশ্চিম বন্দর এলাকার একাধিক বুথকে এ বার তাই অতি স্পর্শকাতরের তালিকায় রাখা হয়েছে। এর পরেই রয়েছে বেহালা এবং সংযুক্ত এলাকার একাধিক বুথ। বাড়তি নজরদারি থাকছে কলকাতা পুরসভার সাত এবং ন’নম্বর এর জন্য।