৩৮৪টি অপরিহার্য ওষুধের দাম বাড়ছে!
নিউজ ডেস্ক : পাইকারি মূল্যসূচকে তীব্র বৃদ্ধির কারণে ৩৮৪টি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। হাজারটিরও বেশি ফর্মুলেশনের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার ১১ শতাংশ দাম বাড়ানো হচ্ছে। ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত দাম কার্যকর হবে। এই দামবৃদ্ধির ফলে ব্যাথানাশক, অ্যান্টি ইনফেকশন ড্রাগ, কার্ডিয়াক ড্রাগ এবং অ্যান্টিবায়োটিক-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে আরও বেশি অর্থপ্রদান করতে হবে।
এসেনসিয়াল মেডিসিন বা প্রয়োজনীয় ওষুধের দামের এই বার্ষিক বৃদ্ধি ঠিক হয় পাইকারি মূল্যসূচক বা ডব্লুপিআইয়ের উপর ভিত্তি করে। গত ২৫ মার্চ জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি জানিয়েছে ওষুধের এই দামবৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ২০২২ ক্যালেন্ডার বছরে ডব্লুপিআইয়ের বার্ষিক পরিবর্তন ছিল ১২.১২ শতাংশ।
গত বছর জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি পাইকারি মূল্যসূচকে ১০.৭ শতাংশ পরিবর্তন করেছিল। এ বছর ১১ শতাংশ বাড়ছে। প্রতি বছর জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথোরিটি ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে। ডিপিওসি ২০১৩ অনুযায়ী পাইকারি মূল্য সূচকে পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক জানিয়েছেন, বাজারে ওষুধের ঘাটতি যাতে না হয় এবং নির্মাতারা ও ভোক্তারা যাতে পারস্পরিকভাবে উপকৃত হয়, তা মাথায় রেখেই মূল্যবৃদ্ধি করা হয়। উৎপাদকরা যেমন লোকসানে বিক্রি করবেন না, তেমনই ভোক্তাদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। দেশে প্রয়োজনীয় ওষুধের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। তা নিশ্চিত করতেই ওষুধের দাম একটি নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে বাড়ানো হয়।
সূত্রের খবর, আগে যখন এবার ১০ শতাংশ বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছিল, তখন বেশ কয়েকটি নির্মাতা বাজার শক্তির কারণে ৫ শতাংশের নীচে রেট রেখেছিল। আমরা এই বৃদ্ধির সঙ্গে একই ধরনের প্রবণতা লক্ষ্য করেছি। অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্কের সহ-আহ্বায়ক মালিনী আইসোলা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য নতুন পাইকারি মূলসূচক নির্ধারিত হয়। ফর্মুলেশনের জন্য ও মূল্য নির্ধারণের জন্য ডিপিসিও বিধানের অধীনে এই দামের বৃদ্ধি ঘটাবে। ডিপিসিও ২০১৩ কার্যকর হওয়ার পর থেকে এই বৃদ্ধি নিয়মিতভাবে হচ্ছে।