‘কংগ্রেস ফাইলসে’র দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ বিজেপির!
নিউজ ডেস্ক::কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে কংগ্রেস ফাইলসের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করল বিজেপি। সেখানে দুর্নীতির পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ করা হয়েছে। কংগ্রেস ফাইলসের দ্বিতীয় পর্বে ভাস্কর্য এবং পদ্মভূষণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি হাতিয়ার করেছে ইডির কাছে দেওয়া ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও রানা কাপুরের বিবৃতি। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অুযায়ী, যেখানে রানা কাপুর দাবি করেছেন, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর কাছ থেকে তাঁকে ২ কোটি টাকা দিয়ে এমএফ হুসেনের পেইন্টিং কিনতে চাপ দেওয়া হয়েছিল।
বিজেপির তরফে দেওয়া ভিডিওয়র দাবি করা হয়েছে, বিনিময়ে রানা কাপুরকে দেশের অন্যতম সেরা অসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে সেই টাকা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর চিকিৎসায় ব্যবহারের কথা হয়েছিল। প্রসঙ্গত রানা কাপুর ২০২০র মার্চ থেকে মুম্বইয়ের একটি জেলে বন্দি রয়েছেন।
ইডি ২০২০ সালের ৯ ও ২০ মার্চ রানা কাপুরের বিবৃতি রেকর্ড করেছিল। সেখানে কংগ্রেস নেতা মুরলি দেওরা এবং প্রয়াত আহমেদ প্যাটেলেক কথা বলা হয়েছিল। আহমেদ প্যাটেল নাকি রানা কাপুরকে বলেছিলেন, ভাল কাজ করেছেন রানা কাপুর। তাঁর নাম অসামরিক সম্মানের জনম্য বিবেচনা করা হবে। এই বিবৃতি ২০২২-এর এপ্রিলে মুম্বইয়ের পিএমএলএ আদালতে ইডির দাখিল করা চার্জশিটের অংশ বলেও জানা গিয়েছে।
বিজেপির ভিডিওতে বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি-অর্থপাচার এবং সন্ত্রাসের ওপরে নজরদারি সংস্থা এফএটিএফের কেস স্টাডির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে নাকি গান্ধী পরিবারের কথাও বলা হয়েছে।
কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই এই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে। পাশাপাশি রানা কাপুরের অভিযোগকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে বর্ণনা করেছে। কংগ্রেসের তরফে ইডির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
বিজেপির তরফে রবিবার কংগ্রেস ফাইলসের প্রথম পর্ব প্রকাশ করা হয়। সেখানে কংগ্রেসের শাসনকালে দুর্নীতির অভিযোগ করে নতুন করে আক্রমণ শানানো হয়। বিজেপির অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে করা টুইটে বলা হয়, কংগ্রেস শাসনে কীভাবে একের পর এক দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারি হয়েছিল তা যেন দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেন।
বিজেপির তরফে অভিযোগ করে বলা হয়েছিল ইউপিএ ওয়ান ও টু জমানায় ৪৮২০৬৯ কোটি টাকা লুট করা হয়েছিল। সব জেনেও চুপ করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বিজেপির তরফে আরও বলা হয়েছিল যে অর্থ লুট করা হয়েছিল, তা দেশের উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য খরচ করা যেত।