রাজ্যপালের প্রশংসায় দিলীপ! 

0 0
Read Time:3 Minute, 55 Second

নিউজ ডেস্ক::রাজ্যপালের কার্যকলাপ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মত বিরোধী ফের একবার প্রকাশ্যে। বিরোধী দলনেতা যখন রাজ্যপালের কার্যকলাপ নিয়ে অসন্তোষ গোপন করছেন না, সেই সময় দিলীপ ঘোষ বলছেন, প্রশাসক এমনই হওয়া উচিত।

বৃহ্স্পতিবার রাজ্যপাল পুজো দিয়ে উপদ্রুত এলাকায় ঘুরেছেন। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, অন্যরা যখন রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত, তিনি তখন ট্যুর কাটছাঁট করে উপদ্রুত জায়গায় গিয়েছেন। ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজখবর নিয়েছেন। পুজো দিয়েছেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখেছেন। প্রশাসক এরকমই হওয়া উচিৎ। কান দিয়ে নয়। চোখ দিয়ে দেখা উচিত, বলেছেন দিলীপ ঘোষ।

এদিন তিনি ইকোপার্কে বলেছেন, যে রাজ্যপাল আসবে, তার বিরোধিতা করো। এটা এই রাজ্যের চলন। দু পক্ষ ভাগ হয়ে যায়। তিনি নতুন, তাঁর মতো এফিসিয়েন্ট মানুষ খুব কম এসেছেন, বলেছেন দিলীপ। তিনি বলেছেন, উনি ডান দিকে পা রাখলে ওরা চেঁচাচ্ছে, বাঁদিকে হলে এরা চেঁচাচ্ছে। তবে সময় লাগবে।

বৃহস্পতিবারই রাজ্যপালের পদক্ষেপ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। উত্তরে বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, প্রতিদিন কারও অবস্থান বদল হয় না। তিনি এক কথা বারে বারে বলবেন না। তিনি আগেকার অবস্থানেই অনড় রয়েছেন বলেও জানান।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যে বর্তমান রাজ্যপালের কাজে সন্তুষ্ট নন, তা বলেছেন বারে বারে। এক্ষেত্রে তিনি রাজ্যের দুই প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং জগদীপ ধনখড়ের নাম করেছেন একাধিকবার। কেন তিনি বিরোধীদের পাশে দাঁড়িয়ে সোচ্চার হচ্ছেন না, সেই প্রশ্নই কার্যত তুলছেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, বিষয়টি তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও তুলেছেন।

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, হিন্দুদের উৎসব হলেই ইচ্ছাকৃতভাবে গণ্ডগোল পাকানো হচ্ছে। নির্বাচনের সময় যাঁরা গণ্ডগোল করে তাঁরাই এই কাজ করছে। এরাই সিএএ এবং নূপুর শর্মার ইস্যুতে গণ্ডগোল করেছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, এমন পরিস্থিতি যে এরপর হিন্দুদের বিয়ে, শোভাযাত্রা বন্ধ করে বাড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।

হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, প্রয়োজনে হিন্দুরা অস্ত্র হাতে রাস্তায় নামবেন। তিনি বলেন, ভোট কিংবা কোনও বড় অনুষ্ঠান কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলেই শান্তি বহাল থাকবে। যেখানে রামনবমীতে পুলিশ দাঁড়িয়েছিল, সেখানে হনুমান জয়ন্তীতে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতেই সব ঠান্ডা।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!