রণক্ষেত্র বারাসত!

0 0
Read Time:3 Minute, 51 Second

নিউজ ডেস্ক::রণক্ষেত্র বারাসত। এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআইয়ের মিছিল ঘিরে একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড। দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার জেলা পরিষদ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। আর সেই অভিযান ঘিরেই একেবারে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী।

দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে বারাসতের জেলা পরিষদ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন ধরে এই নিয়ে নানা কর্মসূচিও করে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআইয়ের নেতা-কর্মীরা।

সেই মতো আজ সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয় জেলা পরিষদের অফিসের সামনে। কিন্তু একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে অতর্কিতেই জেলা পরিষদের সামনে চলে আসেন নেতাকর্মীরা। এমনকি বামকর্মীরা সংখ্যায় এতটাই ছিল যে তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেয়। এমনকি তা সামলাতেও পারেননি পুলিশ কর্মীরা।

শুধু তাই নয়, একেবারে গেট টপকে তাঁরা ভিতরে ঢোকারও চেষ্টা করেন। আর তা ঘিরে একেবারে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাম-ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযান ঘিরে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরাও কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যায়। প্রায় কয়েকশ নেতা-কর্মীরা সামলাতেও হিমশিমও খেতে হয়। আর তা সামলাতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।

আর তাতে বেশ কয়েক বামনেতা কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এরপরেও জেলা পরিষদের দফতরে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই -এর কর্মীরা ঢুকতে গেলে পুলিশের সঙ্গে একেবারে ধ্বস্তাধস্তি বেঁধে যায় তাদের। যা ঘিরে একেবারে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়। যদিও এসএফআই, ডিওয়াইএফআই -এর নেতাকর্মীদের প্রবল চাপের মুখে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যান পুলিশ কর্মীরা। আর সেই সুযোগেই জেলা পরিষদের গেট কার্যত ভেঙে দেয় তারা।

সেই সুযোগে বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা ভিতরে ঢুকে যায়। যদিও জেলা পরিষদের প্রধান গেট সঙ্গে সঙ্গে আটকে দেওয়া হয়। কোনও ভাবে তাঁরা ভিতরে ঢুকে পড়লে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারত বলে আশঙ্কা ছিল।

যদিও অফিসের মধ্যে না ঢুকলেও জেলা পরিষদের দেওয়ালে দুর্নীতি সহ একাধিক দাবি আন্দোলনকারীরা লিখে দিয়ে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি ঘিরে এখনও উত্তেজনা রয়েছে। কিন্তু এত বড় অভিযান বাম ছাত্র সংগঠনের। যা আগে থেকেই ঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও কেন এত কম পুলিশ ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কিছু মন্তব্য করা হয়নি।

তবে এই ঘটনার পরে জেলা পরিষদের সামনে পুলিশকে ব্যাপক ভাবে মোতায়েন করা হয়েছে। বামেদের দাবি, শান্তিপূর্ণ মিছিলে ইচ্ছাকৃত ভাবে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!