পঞ্চায়েতের আগে সতর্ক মমতা!
নিউজ ডেস্ক::সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! আর সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যে ময়দানে শাসক তৃণমূল এবং বিজেপি। আর এই অবস্থায় জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সমস্ত দফতরের কাজের খতিয়ান নিতেই এই বৈঠকের ডাক বলে জানা গিয়েছে।
দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে কার্যত প্রবল চাপে শাসক তৃণমূল। আর এর মধ্যেই ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। যা নিয়ে চাপের মুখে তৃণমূল সরকার। এই অবস্থায় এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ২৬ এপ্রিল নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠক হতে চলেছে। আর এই বৈঠকে সমস্ত দফতরের মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদেরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব এবং যুগ্ম সচিবদেরও উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে।
তবে বৈঠকের বার্তা ইতিমধ্যে সমস্ত মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তবে এই বৈঠকের আগে সমস্ত দফতরের কাছে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। আর তা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে ইমেল মারফৎ পাঠাতে বলা হয়েছে। আর তা পাঠানোর জন্যে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত তথ্য আগামী ১৯ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিতে হবে। জানা গিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বরাদ্দ টাকার পরিমাণ কত। কত টাকা উন্নয়নের জন্যে খরচ করা হয়েছে তা উল্লেখ করতে বলা হয়েছে।
এমনকি কোন কোন প্রকল্পের জন্যে কত টাকা দেওয়া হয়েছে সেটা বলতে বলা হয়েছে। এমনকি ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ও জমা দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ প্রকল্পের কাজ যে শেষ হয়েছে সেই সংক্রান্ত সার্টিফিকেট দিতে বলা হয়েছে। যে সমস্ত প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি কিন্তু টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এমন প্রকল্পের উল্লেখ করতেও বলা হয়েছে। তবে কি কারণে প্রকল্প শেষ করা যায়নি সে বিষয়টি উল্লেখ করতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। আর এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই রিপোর্ট তৈরিতে চূড়ান্ত ব্যস্ততা শুরু হয়েছে দফতরগুলিতে।
জানা গিয়েছে, সমস্ত দফতর থেকে যে সমস্ত তথ্য আসবে সেগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর পর্যালোচনা করবে। আর এরপরেই একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। আর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই দফতরের কাজের খতিয়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইবেন বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কোথাও কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না প্রশাসনিক প্রধান। ফলে এখনও কয়েকটা দিন হাতে রয়েছে। এই অবস্থায় হাল হকিকত জেনেবুঝে নিতে চান তিনি। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনিক ভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশ সামনে আসার পরেই রিপোর্ট তৈরিতে চরম ব্যবস্থা দফতরগুলিতে।