Poyla Baisakh ১৪৩০ : পহেলা বৈশাখে হালখাতা উদযাপন
রাহুল দত্ত : ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১ জানুয়ারি বছরের প্রথম দিন শুরু হলেও বাঙালিদের কাছে বিশেষ করে ব্যাবসায়ীদের কাছে বছর শুরু হয় বাংলা মাসের বৈশাখের ১ তারিখ যা ” নববর্ষ” নামে পরিচিত।আর নববর্ষের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা বিষয় হল হালখাতা।কারণ এদিন দোকানে দোকানে ব্যাবসায়ীরা সিদ্ধিদাতা গণেশ ও বিত্তের দেবী লক্ষ্মীর পূজা করে থাকেন যাতে তাদের ব্যাবসা সারাবছর ভালো ভাবে হয়। পূজার্চনার পর দেবতাদের পায়ে থাকা সিঁদুরে স্বস্তিকা চিহ্ন ও চন্দন নির্মিত খাতায় পুরনো হিসেব চুকিয়ে নতুন করে হিসেব লেখা শুরু করে।এদিন ক্রেতাদের হাতে মিষ্টান্ন,জলের বোতল ও ক্যালেন্ডার দেওয়া হয় যাতে ক্রেতাদের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় থাকে।
হালখাতার বিষয়টি এল কিভাবে? – একথা বলতে গেলে ফিরে যেতে হবে আদিমযুগ।মনে করা হয়,মানুষ লাঙ্গল চালাতে শেখার পর একজায়গায় বসবাস করতে শুরু করে।তারপর বিনিময় প্রথা শুরু হলে হালের দ্রব্য বিনিময়ের হিসেব তারা নিজেদের মতো করে লিখতে থাকে সেই সময়কার ভাষায়।এই খাতার নামই হল ‘ হালখাতা ‘। হাল শব্দটি সংস্কৃত ও ফরাসি দুটি ভাষা থেকে নেওয়া হবে দাবি করে হয়।সংস্কৃত হলে অর্থ লাঙ্গল এবং ফরাসি হলে বোঝায় নতুন।তাই দুটি শব্দই হালখাতার ক্ষেত্রে যথাযোগ্য।