সিবিআইয়ের ৯ ঘণ্টার জেরা সামলে ছাড়া পেলেন কেজরি!
নিউজ ডেস্ক::টানা ৯ ঘণ্টা জেরার পর সিবিআই দফতর থেকে বেরোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় সিবিআই তলব করে তাঁকে। সেইমতো রবিবার ১১টা নাগাদ তিনি প্রবেশ করেছিলেন সিবিআই দফতরে। বের হলেন সন্ধ্যা ৮টার পর।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে নিয়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কেজরির হাজিরার পরপরই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির সদস্যরা। রবিবার দলীয় দফতরে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েই তিনি বের হন সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হতে।
কেজরিওয়াল এদিন বলেন, বিজেপি এখন ক্ষমতার নেশায় ডুবে রয়েছে। ওরা চাইলেই গ্রেফতার করতে পারে। ওরা এখন কাউকে কেয়ার করে না। সেটা রাজনীতিবিদ হোক বা বিচারপতি কিংবা সংবাদমাধ্যম। ক্ষমতায় জন্য ওরা সবকিছু করতে পারে। যাঁরা এদের কথা শোনে না তাদেরকে এরা নির্দ্বিধায় জেলা পাঠাতে পারে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, ওরা নির্দোষদেরও ছাড়ে না। ওরা বলছে, আমি নাকি দুর্নীতিগ্রস্ত। আমি ট্যাক্স কমিশনার ছিলান। দুর্নীতিগ্রস্ত হলে কোটি কোটি টাকা রোজগার করতে পারতাম। এ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, কেজরিওয়াল যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হন, তো গোটা বিশ্বের কেউই সৎ নন।
এদিন কেজরিওয়াল সিবিআই দফতরে থাকাকালীন রবিবার বিকেলে আপের তরফে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। গ্রেফতারির আশঙ্কাতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এদিন সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ৫৬টি প্রশ্ন করা হয়েছে আমাকে। তার জবাব দিয়েছি।
কেজরি বলেন, আমার কাছে লুকানোর মতো কিছু নেই। তাই যা প্রশ্ন করেছে, তার সোজাসুজি জবাব দিয়েছি। আসলে তো ওরা আম আদমি পার্টির বদনাম করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মিথ্যে দিয়ে ওরা মহৎ কাজ করতে পারবে না। গোটা কেসটাই মিথ্যা। সিবিআইয়ের কাছে কোনো প্রমাণ নেই।
কেজরিওয়াল মনে করিয়ে দেন, আমাদের দল তৈরি হয়েছিল দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন থেকে। আমরা সিবিআই-ইডিকে ভয় পাই না। বিজেপি বরং ভয় পায় কেজরিওয়ালকে। সেই কারণে এসব কাণ্ড করতে চাইছে। বিজেপি সরকারের অঙ্গুলিহেনলেই এসব হচ্ছে বলে তাঁর দাবি।
উল্লেখ্য, দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করে সিবিআই। রবিবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল। সেইমতো ৯ ঘণ্টা তিনি সিবিআইয়ের মোকাবিলা করে ফিরলেন। কেজরিওয়াল বলেন, ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। সেই ১০০ কোটি টাকাই নেই। আর তার কোনো প্রমাণ নেই। নিজেদের ইচ্ছামতো রটনা করছে বিজেপি।