CBI -র হাতে গ্রেফতার জীবনকৃষ্ণ সাহা!
নিউজ ডেস্ক::মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলেও শেষ রক্ষা হল না। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সোমবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে তাঁকে এদিন আদালতেও হাজির করানো হবে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটায় জীবনকৃষ্ণ সাহার বড়ঞার বাড়িতে যায় সিবিআই-এর বিশেষ দল। তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। সেদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে ছাদে উঠে দুটি ফোন পুকুরে ছুড়ে ফেলেন তৃণমূল বিধায়ক। যদিও সেদিন সন্ধে থেকে পুকুরের জল ছেঁচে ফেলার কাজ শুরু হয়।
পুকুর ছেঁচে জল সরিয়ে রবিবার সকালের দিকে একটি ফোনের হদিশ পাওয়ায় যায়। আরেকটি ফোনের সন্ধানে জেসিপি মেশিন নামানো হয়। সিবিআই-এর তরফে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তথা ঠিকাদারকে জল সরিয়ে পুকুর পরিষ্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
যদিও তারও মধ্যে সিবিআই আধিকারিকরা জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে পাঁচটি ব্যাগ ভর্তি নথি উদ্ধার করেন। সিবিআই সূত্রে দাবি, সেই সব নথিতে যেমন অযোগ্য প্রার্থীদের ছবি শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত নথি রয়েছে, আবার সেখানে কার থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে সেই নথিও রয়েছে।
রবিবার সিবিআই মোবাইল পুকুরে ফেলার ঘটনার পুনর্নির্মান করে। পুরো ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণ সাহাকে দিয়ে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজে সই করানো হয়। তদন্তে সিবিআই আধিকারিকরা মুর্শিদাবাদ ছাড়াও বীরভূমে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার ভোরে নিয়োগ দুর্নীতির কাণ্ডে দীর্ঘ টানা ৬৫ ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই গ্রেফতার করে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। ভোর ৫.১৫-তে সময়ে স্ত্রী টগর সাহার হাতে গ্রেফতারির কাগজ দিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে নিয়ে নিজাম প্যালেসের উদ্দেশ্য রওনা দেয় সিবিআই-এর গাড়ি। সেই সময় পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
জানা গিয়েছে, ভোররাতে (আড়াটে নাগাদ) সিবিআইয়ের আধিকারিক কল্লোল বিশ্বাসের নেতৃত্বে একটি কনভয় জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে যায়। তারপরেই গ্রেফতারের কথা জানানো হয়। সূত্রের খবর, তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাট, আর্থিক দুর্নীতি, তদন্তে অসহযোগিতা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে সিবিআই।