শুভেন্দু’র সভার মঞ্চ বাঁধার সময়ে দুষ্কৃতী তাণ্ডব!
নিউজ ডেস্ক::বছর ঘুরলেও পঞ্চায়েত নির্বাচন বাংলাতে! আর তার আগে আজ ‘হাইভোল্টেজ’ শনিবার। একদিকে একেবারে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে গিয়ে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে অভিষেকের গড় ডায়মন্ডহারবারে আজ শনিবার পালটা সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। একে অপরকে লক্ষ্য করে তীব্র আক্রমণ করবেন তা কার্যত স্পষ্ট!
তবে ঠিক কি বলবেন সেদিকেই নজর রাজ্যের মানুষের। আর এর মধ্যেই ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। শুক্রবারর পর শনিবার সকাল থেকেও উত্তেজনা। জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন জায়গাতে তৃণমূলের অবরোধ ঘিরে উত্তেজনা। শুভেন্দু’র সভাতে লোক আসা ঠেকাতেই এহেন কৌশল বলে অভিযোগ বিজেপির।
সভা মঞ্চ বাধার সময় দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ। দুপুরে ডায়মন্ডহারবারের লাইট হাউস ময়দানে সভাতে অংশ নেবেম শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এই সভাতে আসবেন বলে দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। আর সেই সভার মঞ্চ বাঁধার সময়ে দুষ্কৃতী তাণ্ডব হয় বলে অভিযোগ। জোর করে মঞ্চ খুলে দেওয়ার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, রাতের অন্ধকারে চেয়ার সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি বিজেপি কর্মীদেরও মারধরা করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনায় অভিযোগের তির স্থানীয় তৃণমূলের দিকে। শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। ঘটনার পরেই পুরো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা। একই সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ শানান। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে এই সভা হতে চলেছে। কিন্তু লুম্পেনবাহিনী তা বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। শুধু তিনি নয়, ঘটনার মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে থাকেন একাধিক বিজেপি নেতা।
এই ঘটনায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও পালটা বিজেপিকেই টুইটারে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তাঁর দাবি, ডেকরেটরের লোক ভাড়া পায়নি। আর সেই কারনেই তাঁরা কাজ করতে চাইনি। আর এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি। পালটা শুভেন্দু অধিকারীকে সোশ্যাল মিডিয়াতে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর পরামর্শ ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ হেল্পলাইনে সাহায্য চেয়ে ফোন করতে পারেন। তাঁরাই বিকল্প ডেকরেটর খুঁজে দেবেন। বলে তোপ তৃণমূল যুব নেতার।
বলে রাখা প্রয়োজন, অনেকে বলছেন, আজ থেকেই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের মহড়া শুরু হয়ে যাবে। আর তার আগেই কোথাও বিস্ফোরণ তো আবার ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূলের হামলার অভিযোগ। যা নিয়ে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ।