নাবালিকার ময়নাতদন্তে উঠে এল মৃত্যুর ‘আসল’ তথ্য
নিউজ ডেস্ক::দুপুরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পরে শনিবার রাতে থমথমে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে আদিবাসী নাবালিকার পোস্ট মর্টেমের প্রাথমিক রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল ওই নাবালিকার। তার শরীরে কোনও রকমের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলেই সূত্রের খবর।
শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে এক নাবালিকার দেহ পাওয়ার পরে উত্তেজনা ছড়ায়। শনিবার ধর্ষণের পরে হত্যার অভিযোগ করে দোষীদের শাস্তির দাবি করে হওয়া বিক্ষোভ থেকে এলাকা জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিন সদস্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। তাঁরা ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রক্রিয়া চলায় সময় পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা গিয়েছে। শরীরে বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন নাবালিকার শরীরে আঘাতের বড় কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। রাস্তা দিয়ে পুলিশ কর্মীরা এই নাবালিকার মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, এই ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, স্থানীয়দের অনুরোধ করা হয়েছিল, যেন পুলিশকে দেহ নিয়ে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার বলেছেন বেশ কয়েকবার স্থানীয়দের অনুরোধ করার পরেও পুলিশ বাধার সম্মুখীন হয়। যা নিয়ে পুলিশকে মৃদু বলপ্রয়োগও করতে হয়। তবে এব্যাপারে তদন্তে যদি কিছু পাওয়া যায়, তাহলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের গাঙ্গুয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই আদিবাসী নাবালিকা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ে টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে বেড়িয়েছিল। কিন্তু সে আর ফিরে আসেনি। প্রতিবেশী এবং আত্মীয়রা ব্যাপক খোঁজার পরেও রাত পর্যন্ত তার কোনও খোঁজ পায়নি।
পরিবারের অভিযোগ ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে। এই ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও খবর জেলা পুলিশ সূত্রে।