পাহাড়ে গিয়ে দিলীপের উত্তরবঙ্গ-মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া
নিউজ ডেস্ক::বিজেপি কখনই বঙ্গভঙ্গের পক্ষে নয়। তারা পৃথক উত্তরবঙ্গ চায় না। কালিম্পংয়ে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি সাফ জানিয়ে দিলেন দলের অবস্থান। তাঁর এই বক্তব্যের পরে পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন জল্পনার বাতাবরণ তৈরি হল। তিনি প্রকারান্তরে বুঝিয়েই দিলেন পৃথক গোর্খাল্যান্ডও চান না তাঁরা।
সম্প্রতি কালিম্পং সফরে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে গিয়ে বঙ্গভঙ্গ নিয়ে সোজাসাপ্টা মতামত জানানোয়ে বিজেপির জোটসঙ্গী জিএনএলএফ ক্ষুব্ধ। শনিবার পাহাড়জুড়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের বিরোধিতায় পোস্টার পড়েছে। জিএনএলএফের তরফে দিলীপ ঘোষের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
একা জিনএলএফই নয়, হামরো পার্টিও সমালোচনা করেছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির মন্তব্যের। পাহাড়ের রাজনীতিতে সর্বদাই মূল ইস্যু হল পৃথক গোর্খাল্যান্ড। এই দাবিকে সামনে রেখেই নির্বাচনের লড়াই করে পাহাড়ের দলগুলি।
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজিপিএমের বিরুদ্ধে যখন বিরোধীদের জোট গড়ে তোলার প্রয়াস চলছে, তখন এই ধরনের মন্তব্য একটা ধাক্কা বলে মনে করছে পাহাড়ের দলগুলি। কেননা তারা পৃথক রাজ্যকে ইস্যু করেই দল করে। আর এ জন্য তারা কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে থাকে।
কেন্দ্রের দলের বঙ্গভঙ্গবিরোধী অবস্থানে তাই বিজেপি-বান্ধব দলগুলি পাহাড়ে বিস্তর ধাক্কা খাবে। রাজ্যসরকার বঙ্গভঙ্গবিরোধী তারা প্রত্যেকেই জানে। কিন্তু কেন্দ্রের সরকারি দলের কাছে তারা যদি এমন ধাক্কা খায়, তবে তা মেনে নিতে সমস্যায় পড়ে জিএনএলএফ, হামরো পার্টি, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মতো দলগুলি।
শুক্রবার বিকেলে কালিম্পংয়ে দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বুথস্তরের কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণনীতি স্থির করে দেন। তখনই তিনি বলেন, যে কোনোদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিজেপি একাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি এই লড়াইয়ের জন্য। আর পঞ্চায়েত লড়াইয়ের প্রস্তুতিতে তিনি জানিয়ে দেন বিজেপি কখনই পৃথক উত্তরবঙ্গ চায় না। ফলে পৃথক গোর্খাল্যান্ডেও যে তাঁদের সমর্থমন নেই তা জানিয়ে দেন দিলীপ।
দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, যদি কোনো সমস্যা থাকে তবে আলোচনা করে তা মিটিয়ে নিতে হবে। ত্রিপাক্ষিক আলোচনা হোক। কিন্তু কোনো ভাগভাগি চলবে না। তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই তোলপাড় পাহাড়। পাহাড়ের বিজেপি-বান্ধব দলগুলি এ প্রসঙ্গে বলেছে, আমরা আশাবাদী যে কেন্দ্র সরকার এই মতের সঙ্গে সহমত নয়।