ফেরিঘাটে বস্তা বস্তা কয়েন
নিউজ ডেস্ক::ফেরিঘাটে পড়ে রয়েছে একগুচ্ছ থলি। আর সেগুলির ভিতরে রয়েছে প্রচুর কয়েন। এমনই ছবি নাকি দেখা গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার ফেরিঘাটে। ইতিমধ্যেই সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জোর চর্চাও চলেছে।
রাজ্য জুড়ে যখন দুর্নীতির তদন্ত চলছে, রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি, তার মধ্যে এই কয়েন ভর্তি থলি নিয়ে বেড়েছে জল্পনা। টাকার পাহাড়ের পর কয়েনের বস্তাতেও কি লুকিয়ে রয়েছে নতুন কোনও রহস্য?
অবশেষে মঙ্গলবার সেই ছবি ও ভিডিয়োর আসল সত্য প্রকাশ্যে আনলো ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৩ তারিখ রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রামনগর থানার নৈনান ফেরিঘাটে একটি ভুটভুটি থেকে ১২৫ খানা থলিভর্তি কয়েন উদ্ধার হয়েছে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। স্থানীয় থানার পুলিশের উপস্থিতিতেই কয়েনগুলি গোনা হয়। টাকার অঙ্ক ছিল প্রায় ৩ লক্ষ ১২ হাজার। নামখানার ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী রাধাকৃষ্ণ মান্নার থেকে হাওড়ার শ্যামপুরের এক ইটভাটার মালিক বিশ্বজিৎ সিংহকে দেওয়ার জন্য এই কয়েন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে দাবি পুলিশের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় সেই সমস্ত কয়েন ভর্তি থলিগুলিকে আটকে রাখে তারা। পরে পুলিশকে খবর পাঠানো হয়। ততক্ষণে অনেকেই কয়েন ভর্তি থলির ছবি ও ভিডিয়ো মোবাইলে বন্দি করে ফেলেছেন। এই ছবি ঘিরেই তুমুল চর্চা ও বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।
পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, কয়েনগুলো আসলে নামখানা ব্লকের অধীন একটি ফেরিঘাটের টিকিটের মূল্য। সেই কয়েন ভর্তি থলিগুলো নামখানারই আর এক বাসিন্দা পেশায় ঠিকাদার নারায়ণ ঋণ পরিশোধের জন্য দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী রাধাকৃষ্ণ মান্নাকে।
বিষয়টি নামখানা ব্লকের বিডিও লিখিতভাবে পুলিশকে জানায়। এছাড়াও সবদিক খতিয়ে দেখার পর পুলিশ কয়েনভর্তি থলিগুলি ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সিংহের হাতে তুলে দেয়।