রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর
নিউজ ডেস্ক::সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনেক বেআইনি কাজ করছেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তীব্র আক্রমণ বিরোধী দলনেতার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে থেকেই রাজ্যপাল বোসকে বেনজির আক্রমণ শানান তিনি। যদিও পালটা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও।
বিরোধী দলনেতা বলেন, কখনও সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্ব তো কখনো শত্রুতা। এর মধ্যে আমি নেই। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই তাঁর দাবি, সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেআইনি অনেক কাজ করছেন। এই বিষয়ে অনেক তথ্য আছে বলেও মন্তব্য নন্দীগ্রামের বিধায়কের।
তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়। রাজ্যপাল অনেক ভাবেই রাজ্য সরকারকে সাহায্য করছেন বলেও দাবি তাঁর। তবে রাজ্যপালের উপর নির্ভর করে আমি রাজনীতি করি না বলেও মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। তবে লোকায়ুক্তে অসীম রায়ের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন এবং বীরেন্দ্রকে ইনফরমেশন কমিশনার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বিশেষ করে নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেওয়ার পর বীরেন্দ্রকে কমিশনার নিয়ে প্রশ্ন বিরোধী দলনেতার। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা তাঁর সদস্যরা বিরূপ হলেই উনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এমনকি সেটা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি বিরোধী দলনেতার। তবে এই ভাব ভালোবাসার মধ্যে তিনি নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ভাব-ভালোবাসার মধ্যে বিরোধী দলনেতার ঢোকার ইচ্ছা নেই। তবে এদিন ফের একবার গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং জগদীপ ধনখড়ের প্রশংসা উঠে আসে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং জগদীপ ধনখড়ের কথা তুলে ধরেন বিজেপি নেতা।
তাঁর কথায়, গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও জগদীপ ধনখড়কে স্যালুট করি। যদিও এই বিষয়ে রাজ্যপালের সিভি আনন্দ বোসের দাবি, বিরোধী দলনেতার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাঁর মতামত ব্যক্ত করার। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সংঘাত নতুন কিছু নয়।
রাজভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে বাংলা শেখা থেকে শুরু করে রিষড়া-হাওড়া নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল কোনও রাজনৈতিক দলের দলদাদস নয়। ফলে এহেন মন্তব্য সংবিধান বিরোধী বলে দাবি তৃণমূল নেতার।