বনধ স্বতঃস্ফূর্ত দাবি সুকান্তর
নিউজ ডেস্ক::সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বনধকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা ঘটছে। বিজেপির বিরুদ্ধে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা শাসক দলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গে বনধ সফল এবং সর্বাত্মক। যে অশান্তির ঘটনা ঘটছে সেটা করছে শাসক দলের নেতা কর্মীরা। তারাই বাঁশ লাঠি নিয়ে বাস ভাঙচুর করছে বিজেপি কর্মীদের মারধর করছে। একাধিক জেলা থেকে বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে।
কালিয়াগঞ্জে জোড়া মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গের ৮ জেলায় বনধ পালন করছে বিজেপি। সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় অশান্তির ঘটনা ঘটে চলেছে। বনধ সমর্থকদের সঙ্গে শাসক দলের বিবাদ দেখা গিয়েছে একাধিক জায়গায়। বনধ সফল করতে সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীরা পথে নেমেছেন। একাধিক জায়গায় পিকেটিং এবং পথ অবরোধ করছেন তাঁরা।
সকাল থেকে আলিপুরদুয়ার জেলার জয়ঁগা, হ্যামিল্টনগঞ্জ, কালচিনি, আলিপুরদুয়ার সহ বিভিন্ন এলাকায় পথে নেমেছ বিজেপি কর্মীরা। আলিপুরদুয়ারে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের ডিপো বন্ধ করে দিয়েছে বনধ সমর্থনকারীরা। দোকান পাট খোলেনি। সরকারি বাসের পাশাপাশি বেসরকারি বাসও পথে নামেনি। কালচিনি এলাকায় বিজেপি কর্মীরা সকাল থেকে পথে নেমেছে। আলিপুরদুয়ার চৌপিথিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা।
শিলিগুড়িতেও বনধের প্রভাব পড়েছে। বাগডোগরা বিহার মোড় সহ খড়িবাড়ির পানিট্যাঙ্কিতে শিলিগুড়িগামী রাস্তায় বসে পড়ে পথ আটকে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বনধ সমর্থনকারীদের তুলে দিতে গেলে বিজেপি কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা ও ধস্তাধস্তি। অবশেষে বেশ কিছু বনধ সমর্থনকারীদের পুলিশ ভ্যানে করে থানায় তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
কোচবিহারের একাধিক জায়গায় বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। পুরো ঘটনাটাই পরিকল্পিত বলে পাল্টা দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডারা বাস ভাঙচুর করছে। বিজেপি কর্মীদেরও মারধর করা হচ্ছে। কোচবিহারের বাস ভাঙচুরের ঘটনার এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান।
শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ সহ মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মনও রাস্তায় নেমে পড়ে। বিজোপি কর্মীরা রাস্তায় ঝান্ডা হাতে নেমে পড়ার পরই টানটান উত্তেজনা শুরু হয় শহর শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ি হাসমিচকে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় বনধ সমর্থনকারীরা। সরকারি বাসে ছোড়া হয় পাথর। রাস্তায় শুয়ে, বসে পথ অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে শহর জুরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকে। যান চলাচল বন্ধ করতে গেলে পুলিশ ও বনধ সমর্থনকারীদের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাটিগাড়ার বিধায়ক আনন্দময় বর্মন সহ একাধিক বনধ সমর্থনকারীদের আটক করে থানায় নিয়ে যেতে গেলে সেই গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।