প্রাতঃভ্রমনে সাংসদ দিলীপ ঘোষের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা

0 0
Read Time:5 Minute, 56 Second

নিউজ ডেস্ক::শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

বিচারপতি ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন,

বিচার বিভাগের ব্যাপার। অশোক গাঙ্গুলী বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করতে পারেনা। ব্যাপারটা ক্রিটিকাল। মাসখানেক ধরে বাজারে রিউমার চলছিল, ওনার হাত থেকে মামলা কেড়ে নেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত যেটা নিয়ে টেনশন ছিল, সেটাই হল। মানুষ যার ওপর ভরসা রেখেছিল, বাংলার মানুষ যাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একজোট হতে শুরু করেছিলেন, তাদের মনোবল কমে যাবে। অন্যায়ের সাজা আজ না হোক কাল হবে। জাস্টিস গাঙ্গুলী যাবেন, অন্য কেউ আসবেন। কিন্তু এই ঘটনায় একটা চক্রান্তের গন্ধ সবাই পাচ্ছেন। যদি জুডিসিয়ারিকেও এর বাইরে না রাখা যায়, তাহলে চিন্তার বিষয়। তিনি একা যেভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই সামলেছেন, বাংলার সাড়ে দশ কোটি মানুষ ওনাকে বিশ্বাস করে। উনি যেন বিষয়টা পার্সোনালি না নেন। উনি ন্যায়ের প্রতিমূর্তি এবং মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতীক। উনি ওনার কাজ চালিয়ে যান।

আজকে আমার মৃত্যুদিন:অভিজিত গাঙ্গুলী
— এই বিষয় তিনি বলেন

এই কথার মধ্যে কিছুটা ইমোশন আছে। বিকাশবাবু বলেছেন, যে বিষয়ে উনি মামলা শুনেছেন, সেই বিষয়ে কিছু বলেন নি। উনি প্রেসে যেটা বলতে চেয়েছেন, সেটা ঠিক কি? মানুষ তার পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।

সাক্ষাতকার দিয়েই কি বিপদ হল জাস্টিস গাঙ্গুলির ? এ বিষয় দিলীপ বাবু বলেন,

উনি কি বলেছেন, না বলেছেন ওই সাক্ষাতকারে, তা বিচার্য বিষয়। ওনার বক্তব্য অনুবাদ করে যখন দিল্লিতে চেয়ে পাঠানো হয়, তখনই সন্দেহ হয়েছিল। আমরাও শুনেছি। একবারও মনে হয়নি, কেস কে প্রভাবিত করছেন। বা বিচারকের নীতি ভঙ্গ করেছেন। আশা করব বাকি যে মমলাগুলি তার কাছে রইল, তিনি অবসর নেওয়ার আগে সেগুলির বিষয়ে ন্যায় করবেন।

টিটাগড় শ্যুট আউট নিয়ে তিনি বলেন,

থানায় থানায় অপরাধীর আড্ডা। পুলিস শেল্টার দেয়। পথে ঘাটে বন্দুক। স্কুলে দু হাতে দুটো বন্দুক। সবাই এখানে ঘাঁটি গেড়েছে। থানা জ্বলছে। পুলিস দেখছে। প্রতিবাদ করলে আইনের খাঁড়া নেমে আসছে। বাড়িতে ঢুকে খুন করে দিচ্ছে পুলিস। দাঁড়িভিট মনে আছে? দুই স্কুল ছাত্র কে গুলি করা হয়েছিল। সিবিআই তদন্তের আশায় এখনও বডি কবর দেওয়া আছে। এবার কি হল? নির্যাতিতার খুনি থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। পুলিস চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সুইসাইড তত্ব খাড়া করার চক্রান্ত চলছে।

ডিএ শুনানি বার বার পিছনো প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,

আপনি আপনার হকের টাকা চাইতে দিল্লী যান। ওরা ওদের হকের টাকা চাইলে অন্যায়? আর রাজ্যের যে মন্ত্রী জ্যোতিবাবুর তত্ত্ব আওড়ালেন, সেই সময়ের লোক আজ আছে কি?

অভিষেক এবং কুনাল ঘোষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

এগুলো ইঙ্গিত। জেলে থাকা আর বাইরে থাকা নেতাদের কথা মিলে যাচ্ছে। অভিষেক ও কুন্তলের কথা মিলে যাচ্ছে। পার্থ ও কুনালের কথা মিলে যাচ্ছে। মানে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। আগুন আছে বলেই তো ধোঁয়া বেরোচ্ছে।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সরে যাওয়া কি রাজনৈতিক লড়াইয়ের ফল, এই বিষয় তিনি বলেন,

ধীরে ধীরে প্রকাশ হবে। আমরা অনেক কথা শুনছিলাম এক মাস ধরে সেই দিকেই গেছে। সন্দেহ হচ্ছে, না হলে সাধারণ ব্যাপার জাস্টিস যদি কোন ভুল করে থাকেন তার বিরুদ্ধে সাজা হওয়া উচিত তার পদের অবলুপ্ত হওয়া উচিত বা তাকে অন্য জায়গায় ট্রান্সফার করা উচিত। যেই বিতর্ক যে কেস নিয়ে যেটার জন্য সারা বাংলার মানুষ চেয়ে আছে তার হাত থেকে কেসটা কেড়ে নেওয়া হলো তখনই সন্দেহ হচ্ছে বাকি সব ঠিক আছে।

অভিষেকের যুগ যুগ জিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

এতোদিন হাইকোর্ট যখন একটার পর একটা বিরুদ্ধে রায় দিচ্ছিল, তখন তোপ দেগে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছিলেন। যেই তাদের মনের মতো রায় এল, তখন যুগ যুগ জিও। প্রশ্ন ওঠে, কোথায় সেটিং?

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!