মিশন ২৪-এ নতুন জোটসঙ্গী খুঁজছে সিপিএম
নিউজ ডেস্ক::২০২৪-এর আগে সিপিএম নতুন জোটসঙ্গী খোঁজার সিদ্ধান্ত নিল। রাজ্যওয়াড়ি নতুন জোটসঙ্গীকে নিয়ে তারা বিজেপির মোকাবিলা করতে চায়। সম্প্রতি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এটা সিপিএমের একটি কৌশল।
২০১৯-এর নির্বাচনে সিপিএম অপেক্ষাকৃত অনেক কম আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার তারা আসন সংখ্যা বাড়াতে চায়। সেজন্যই জোটসঙ্গী খোঁজার পরিকল্পনা। কেননা এখন খুব কম ক্ষেত্রেই সিপিএমের এককভাবে লড়ে আসন জয়ের ক্ষমতা রয়েছে। তাই জোট গড়ে আসন বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে সিপিএম।
২০১৪ সাল পর্যন্ত সিপএমের এতটা দৈন্যদশা ছিল না। তারা বাংলা, কেরল ও ত্রিপুরায় জয়ের ব্যাপারে অগ্রগণ্য ছিল। কিন্তু তারপর থেকে সিপিএমের দাপট গোটা দেশেই কমতে থাকে। বাংলা থেকে সিপিএমের আধিপত্য কমতে শুরু করে। ত্রিপুরাতেও ক্ষমতা হারাতে হয়।
সিপিএমের যতটুক শক্তি, তা বলবৎ রয়েছে কেরলে। এই অবস্থায় তামিলনাড়ু, কর্নাটক, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা ও ঝাড়খণ্ড নিয়ে সিপিএমের অন্দরে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গড়ে লড়ার ব্যাপারে তারা সম্মত হয়েছে। কিন্তু বাংলার প্রসঙ্গ উঠতেই বাধ সাধলেন সিপিএম নেতৃত্ব।
বাংলার ক্ষেত্রে পার্টি কংগ্রেসে গৃহীত রাজনৈতিক রণকৌশলের লাইনেই তাঁরা হাটবে, নাকি সিদ্ধান্ত এক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনা করবে, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্প্রতি সিপিএম পলিটব্যুরো তা নিয়ে বৈঠকেও বসেছে।
সিপিএম বাংলা ছাড়াও দিল্লি, তেলেঙ্গানা নিয়েও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সম্প্রতি। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী অবস্থানে অটুট থেকে জোটসঙ্গী খুঁজে ২০২৪-এর লড়াইয়ের আঙ্গিক চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা পার্টি কংগ্রেসের বৈঠক থেকেই নিয়েছে সিপিএম।
বাংলার ক্ষেত্রেই মূলত ব্যতিক্রমী ভাবনা এসেছে সিপিএমের মাথায়। বাংলার ক্ষেত্রে তারা বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী সব শক্তিকে এক মঞ্চে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু দু-ক্ষেত্রে এই ভিন্ন অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতেও শুরু করেছে। বিজেপি বিরোধিতার পাশাপাশি তারা তৃণমূলের বিরোধিতাও করতে চায় বাংলায়।
বিজেপি বিরোধিতায় সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে একই মঞ্চে যেতে হলেও রাজ্যের ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটে কী অবস্থান নেওয়া হবে, সে প্রশ্ন ছিলই। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া তিনদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সেই প্রশ্ন ফের সামনে চলে আসে। সিপিএম এখনও অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি।
সিপিএম ঠিক করেছে, তারা তামিলনাড়ুতে ডিএমকে, বিহারে জেডিইউ ও আরজেডি, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি, ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলবে। অন্যান্য রাজ্যে যেখানে দল প্রার্থী দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই, সেখানে বিজেপি বিরোধী দলকে সমর্থন করা হবে।