মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোকাবাবুকে নিশানা অধীর চৌধুরীর

0 0
Read Time:4 Minute, 37 Second

নিউজ ডেস্ক::এই ছেলে বলেছিল নিরাপদে ভোট হবে। কিন্তু ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা বাদ দিন গত পুরসভা নির্বাচনে কী হয়েছিল তা সবাই দেখেছেন। এদিন বহরমপুরে করা সাংবাদিক সম্মেলনে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

অধীর চৌধুরী প্রশ্ন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি না তার খোকাবাবু? তিনি আরও প্রশ্ন করেন আমরা কি খোকাবাবুর কথা শুনব? মুখ্যমন্ত্রী কেন কিছু বলছেন না, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। কোন অধিকারে খোকাবাবুর পিছনে পুলিশ দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

অধীর চৌধুরী বলেন, তাঁর বড় প্রশ্ন, কোন অধিকারে সারা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটা জেলায় খোকাবাবুর সভা সফল করার জন্য এত ফোর্স লাগানো হচ্ছে? যেখান দিয়ে খোকাবাবুর বাস যাচ্ছে সেখানে বিদ্যুৎ বন্ধ করা হচ্ছে? তিনি প্রশ্ন করেন, কেন আমরা সরকারি টাকা খরচ করে দিদির সে ভাইপো বলে তাঁর অনেক ভাইপো থাকতেও এক ভাইপোর নামই আজকে আমরা জানি?

কেন তার বিলাসিতার করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নের জবাব তৃণমূল নেতাদের আছে কি? অধীর চৌধুরী বলেন, তাঁকে হারানোর অনেক গল্প শুনেছেন। তখনও তিনি (অধীর) বলেছিলেন, তোদের সাথে লড়াই করব না, পিসির সঙ্গে লড়াই করতে চাই। পিসিকে না হারাতে পারলে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে চাই, এদিন বহরমপুরে বলেন অধীর চৌধুরী।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচিতে মুর্শিদাবাদ জেলায় পরপর তিন দিনই বিশৃঙ্খলা হয়েছে। এব্যাপারে অধীর চৌধুরী বলেন, আজকে আমরা অনেক কিছু দেখতে পাচ্ছি। আমরা যাকে দেখতে পাচ্ছি সে মুখ্যমন্ত্রীর খোকাবাবু। গোটা পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন তাঁর সঙ্গে কেন জেলায় যাচ্ছে, সেই প্রশ্ন করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
তিনি বলেন, এখন পুলিশের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে, খোকাবাবুর অনুষ্ঠান কী ভাবে সফল করতে হবে, কা দেখা। বাংলার মানুষ এই দৃশ্য কখনো দেখেনি, সে কি রাজা না মহারাজা? যে তার জন্য রাস্তাঘাট সমস্ত কিছু বন্ধ যাঁরা পুলিশ কর্মী আছেন ঘন্টার পর ঘন্টা তাঁরা খাঁ-খাঁ করে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদেরকে প্রশাসন খেতে পর্যন্ত দিচ্ছে না, বলেন তিনি।

অধীর চৌধুরী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে বলেন, তাঁর পদযাত্রায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। হাজার হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার নামানো হয়েছে। জনগণের টাকায় রাজকীয় আয়োজন চলছে। সেখানে তৃণমূলে মারামারি হবে না তো কী হবে, প্রশ্ন তাঁর।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, আজ পশ্চিমবঙ্গে যে সরকার রয়েছে, সেই সরকারের আমলে রুটি রোজকার বলে কিছু নেই। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম নেই। তিনি বলেন, পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাস ও জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বমুখী। সেই জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে মস্তি হচ্ছে আর পিকনিকে মারামারি হচ্ছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!