তমলুকের ক্যাকটা ICDS সেন্টারের খিচুড়িতে টিকটিকি
নিউজ ডেস্ক::তমলুকের ক্যাকটা ICDS সেন্টারের খিচুড়িতে টিকটিকি, আর সেই খাওয়ার খেয়ে অসুস্থ হয়ে ১২ জন শিশু ও ১ অন্তঃসত্তা মহিলা ভর্তি হল জানুবসান রুরাল হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের ক্যাকটাতে গ্রামীন এক ICDS-সেন্টারে প্রতিদিনের মতোই আজও প্রায় শিশু ও অন্তঃসত্ত্ব মিলিয়ে ৭০ জনের রান্না করা হয়। এরপর শিশুরা প্রতিদিনের মতোই পড়াশোনা করার পর ওই খাওয়ার খেয়ে কেউ বা খাওয়ার নিয়ে বাড়ি চলে যায়। বাড়িতে যাওয়ার ২ ঘন্টা পর অসুস্থবোধ করে অনেক শিশুই। এরপর স্থানীয় ও অভিভাবকরা তাদেরকে তড়িঘড়ি করে জানুবসান রুরাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
এই মুহূর্তে ১২ জন শিশু ও ১ অন্তঃসত্তা মহিলা মিলিয়ে মোট ১৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ওই হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানান…. প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করা হয়েছে সমস্ত রোগীর। তবে এই মুহূর্তে সবাই সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো রকম উপসর্গ বা অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে কিছু হলেই আমরা তৎপর রয়েছি চিকিৎসার জন্য।
ICDS কর্মী আলপনা মাইতি,স্থানীয় মানুষজন ও অভিভাবকদের অভিযোগ….ওই ICDS সেন্টারের পরিকাঠামো ঠিক নেই। সেন্টারের ওপরে আচ্ছাদন একেবারে ভগ্নদশা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনরকম সুরাহা হয়নি। তাদের প্রাথমিক অনুমান যে, সেন্টারের আচ্ছাদন না থাকার ফলে টিকটিকিটি উপর থেকে পড়েছে ওই রান্না করা খিচুড়ির মধ্যে। আর সেই খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়েছেন ওই সমস্ত শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। তবে তাদের এই অভিযোগ কে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজেশ হাজরা,তিনি জানান ওই ICDS কর্মী আলপনা মাইতির গাফিলতির ফলে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
তবে এই ঘটনা ঘটার পরে দেখা যায় যে স্থানীয় BDO,BMHO পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান, ব্লক ICDS আধিকারিক সহ পুলিশ প্রশাসন ওই সমস্ত শিশুদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেন এবং হাসপাতালে গিয়েও শিশুদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।