কর্নাটকে সরকার গড়তে নিশ্চিত কংগ্রেস
নিউজ ডেস্ক::কর্নাটকে বিজেপি ক্ষমতা হারাচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনার পর থেকে যে ট্রেন্ড সামনে আসছে তাতে এটাই স্পষ্ট। কংগ্রেসের পার্টি অফিসগুলিতে উৎসবের আবহ। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই সরকার গঠনের বিষয়ে নিশ্চিত কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ইতিমধ্যেই সরকার গঠনের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। জানা যাচ্ছে, কাল পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। একটি রিসর্ট বুক করে রাখা হয়েছে হায়দরাবাদে। ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে ঘোড়া কেনাবেচার বিষয়ে সতর্ক থেকেই এই পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে।
২২৪ বিধানসভা আসনে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১১৩টি আসন। কংগ্রেস যদি সেই সংখ্যায় নিজেরাই পৌঁছে যায় তাহলে সরকার গঠনে কোনও সমস্যা নেই। এটা যদি কংগ্রেসের প্ল্যান এ হয়, তাহলে তার পাশাপাশি তৈরি রাখা হচ্ছে প্ল্যান বি। যদি কংগ্রেস ১১৩-র কমে থেমে যায় তাহলে নবনির্বাচিত সব বিধায়ককে নিয়ে যাওয়া হবে হায়দরাবাদে।
কংগ্রেস ছাড়া কোনও রাজনৈতিক দল ভোটগণনার ট্রেন্ডে ১০০ আসনে এগিয়ে নেই। কংগ্রেসের সম্ভাব্য আসন কোনও চ্যানেল দেখাচ্ছে ম্যাজিক ফিগারের উপরে। কোনও চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে ১১৩-র কয়েকটা কম। তবে সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে কংগ্রেস, পিছিয়ে বিজেপি। কিন্তু ত্রিশঙ্কু হলেই শুরু হয়ে যাবে জোরদার খেলা।
কর্নাটকে এবার রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়ে। ভোটদানের হার ছিল ৭৩.১৯ শতাংশ। ৩৮ বছর ধরে কর্নাটকে একটি ধারা চলে আসছে। যেখানে কোনও ক্ষমতাসীন দলকে পরের পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় ফেরাননি কর্নাটকের ভোটাররা। নরেন্দ্র মোদী ম্যাজিতে সেই ধারা বদলাতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পরিস্থিতি সেদিকে যাচ্ছে না।
২০১৮ সালে ম্যাজিক ফিগারে না পৌঁছেও কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। এবার কর্নাটকের শাসক দল অনেক আসন খোয়াচ্ছে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনে কংগ্রেসের সঙ্গে জেডিএসের হাত মেলানোর সম্ভাবনা প্রবল। তবে জেডিএস এইচডি কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী চাইলে তা কংগ্রেস মানবে কিনা সেটা দেখার।
এই অবস্থায় খেলা ঘোরাতে পারে বিজেপি। বিধায়ক যাতে কিনতে না পারে বিজেপি, সেজন্য সতর্ক থাকছে কংগ্রেস। ক্ষমতায় থাকতে জেডিএসের সঙ্গে বিজেপি হাত মেলাবে কিনা তা নিয়েও চর্চা থাকছে। তবে নিঃসন্দেহে এবারের ফলাফল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে ধাক্কা দিল।
এবারের ফলাফল কংগ্রেসকেও অক্সিজেন দিতে চলেছে। মল্লিকার্জুন খাড়গে এই সাফল্যের কৃতিত্বের বড় দাবিদার। কংগ্রেস সরকার গঠিত হলে সিদ্দারামাইয়া, নাকি শিবকুমার কাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় সেটাও দেখার।