ড্রাগ হিসাবে ব্যবহৃত ৯৯৬ বোতল অবৈধ কাশির সিরাফ সহ ধৃত তৃণমূল নেতার ভাইপো
নিউজ ডেস্ক::এর আগে মূলত কাশির সিরাফ ‘ফেন্সিডিল’ নেশা করার জন্য ব্যবহার করা হতো। বিশেষকরে এই প্রবণতা ছিল বস্তি অঞ্চলের নাবালকদের মধ্যে। পরে ফার্মাসিস্ট সোসাইটি খুব কড়াকড়ি করায় এখন আর ওই ওষুধ সহজলভ্য নয়। তাই এখন অন্য সিরাফ বাজারে এসেছে। আর তা নিয়ে চলেছে চোরা কারবারি। এমনি চার অবৈধ ওষুধ পাচারকারিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে কৃষ্ণনগর থেকে ওই দু’টি গাড়ি চাপড়ার দিকে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ খবর পায়, কালো কাচে ঘেরা ওই গাড়ি দু’টি করে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সীমান্তে পাচারের জন্য। কিন্তু ধরা পড়ে যায় আধিকারিকদের হাতে।
একটা বেশ বিলাসবহুল কালো গাড়ি করেই পাচার হচ্ছিল ওই সিরাফ। জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হল ৪ পাচারকারী। পুলিশ সূত্রে জানি গিয়েছে, ওই পাচারচক্রের অন্যতম পাণ্ডা শাকিল আহমেদ স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার ভাইপো। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই বিপুল কাশির সিরাপ। শাকিল ছাড়াও বাকি ধৃতরা হলেন, আজিজুল শেখ, বাচ্চু মিস্ত্রি এবং মানিক শেখ। তাঁরা প্রত্যেকে চাপড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃত শাকিল চাপড়ার তৃণমূল নেতা জাহান আলি মোল্লার ভাইপো বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই নিয়ে বিরোধী দলের নেতারা তীব্র সমালোচনা করেন। বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, ”গরুপাচার, কয়লাপাচার, বালিপাচার, আর নদিয়াতে চলে গাঁজা এবং কাশির সিরাপ পাচার। তৃণমূল নেতাদের ছত্রছায়ায় এ সব অবৈধ কারবার চলে।’’
একই সুর শোনা যায় বাম ও কংগ্রেসের মুখেও।