নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে বড় সাফল্য সিবিআইয়ের
নিউজ ডেস্ক::নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বড় সাফল্য! তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল থেকে ১০০ শতাংশ ডেটাই উদ্ধার। তদন্ত শুরু হতেই বিধায়ক তাঁর দুটি মোবাইল পুকুরে ফেলে দেন। প্রায় দুদিন ধরে দীর্ঘ তল্লাশি শেষে পুকুরের একটি অংশ থেকে মোবাইলগুলিকে উদ্ধার করে সিবিআই।
দুদিন ধরে জলে থাকা মোবাইল থেকে ডেটা উদ্ধার করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু দিল্লির ফরেন্সিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন দুটি মোবাইল থেকেই সমস্ত ডেটাই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তদন্তকারী সূত্রে খবর, এসএসসি মামলার তদন্ত শুরু হতেই সমস্ত হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট, কল রেকর্ড এবং বহু ছবি ডিলিট করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সমস্ত তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আর উদ্ধার হওয়া তথ্য দেখে রীতিমত চমকে উঠছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, মোবাইলগুলি কেন বিধায়ক জলে ফেলে দিয়েছিলেন তা ধীরে ধীরে তদন্তকারীদের কাছেও স্পষ্ট হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া তথ্য থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কীভাবে জীবনকৃষ্ণর কাছ থেকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিভিন্ন জায়গাতে পৌছেছে সে বিষয়েও তথ্য ফোন থেকে মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে দুটি ফোন থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্যের একটি কপি জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রায় ৩০০ পাতার কপি জমা দেওয়া হয়েছে। আর এরপর আরও বড় সাফল্য। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে খুব শীঘ্রই বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এই মুহূর্তে জেলে বন্দি রয়েছেন এই বিধায়ক। তবে বিপুল পরিমাণ এই তথ্য ভান্ডার নিয়ে যে বিধায়কের অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আর সেই মতো জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। প্রায় ৪৮ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে তদন্ত। তবে তদন্ত চলাকালীন জীবনকৃষ্ণ সাহা তাঁর দুটি মোবাইল স্থানীয় একটি পুকুরে ছুঁড়ে ফেলেন। আর সেই মোবাইল ফোন খুঁজতে গোটা পুকুরের জল ফেলে দেওয়া হয়। শেষমেশ দীর্ঘ সময় পর মেলে ওই মোবাইলগুলি। এরপরেই দিল্লির ফরেন্সিকে সেগুলিকে পাঠানো হয়। সম্প্রতি দিল্লির ফরেন্সিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুটি মোবাইল থেকে ১০০ শতাংশ ডেটা উদ্ধার করাই সম্ভব হয়েছে। আর যা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।