“হোমগার্ড-সিভিকের ওপর ভরসা করে রাজ্য চালাচ্ছেন দিদি”: অধীর চৌধুরী

0 0
Read Time:4 Minute, 10 Second

নিউজ ডেস্ক::পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেভাবেই চলবে। এদিন এমনটাই জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভায় বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। ১২ জুন পটনায় তৃণমূল ও কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির বৈঠক প্রসঙ্গে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বৈঠক পটনায় ডাকতে অনুরোধ করেছিলেন নীতীশ কুমার-তেজস্বী যাদবদের। সেই অনুযায়ী ১২ জুন পটনায় বেশ কয়েকটি বিরোধীদলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বৈঠকের জন্য।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের স্ট্যান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালাবে, সেটা হতে পারে না। তার পরেই বিরোধী জোটে কংগ্রেস ও তৃণমূলের একসঙ্গে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেননা বর্তমান পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো কংগ্রেসকে বাংলায় আসন ছাড়বেন না। সেখানে জোটের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বোমা উদ্ধার প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূল থাকবে আর বোমা থাকবে না, এটা হতে পারে না। তৃণমূল যতদিন থাকবে, বোমা থাকবে, কটাক্ষে বলেছেন তিনি। অধীর চৌধুরী আরও বলেন, বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হলে আড়াই লক্ষ টাকা, বাজে মৃত্যু হলে দুলক্ষ টাকা, আর ধর্ষণে মৃতের দাম তিন লক্ষ টাকা।
বোমা উদ্ধারে ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এব্যাপারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কটাক্ষ করে বলেছেন, দিদি তো আজ হোমগার্ড ও সিভিকের ওপর ভরসা করে রাজ্য চালাচ্ছেন। তারা দুটো কাজ করছে। ভোট করাচ্ছে আবার পার্টিটাও করছে। নিজেরা কামাচ্ছে আর দিদির দলের দাসত্ব করছে।

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার কনস্টেবল পদ খালি হয়েছে। যদি বাইরে থেকে অস্ত্র আসে, গাঁজা আসে, সেগুলো দেখার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। তাহলে কেন চাকরি দেওয়া হচ্ছে না, বহরমপুরে প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেছেন, উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে ওস্তাদ মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই আদিবাসী ও কুড়মিদের মধ্যে গণ্ডগোল পাকাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন অধীর। তিনি কুড়মিদের দাবি নিয়ে তৃণমূলের অবস্থানেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাাপতি বলেন, দিদি জাতে মাতাল তালে ঠিক। তিনি জানেন চাকরির ধর্নায় যাঁরা বসে আছেন, তাঁরা নিজের এলাকায় ভোট কন্ট্রোল করেন না। কিন্তু এগরায় মৃত্যু সেখানে ভোটকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই সেখানে তিনি ম্যানেজ করতে গিয়েছিলেন। এখানেই প্রমাণ, তিনি কতটা নৃশংস।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!