“মোদীর পিছনে লাগলে ডুবতে হবে”, হুঁশিয়ারি দিলীপের
নিউজ ডেস্ক::সত্যিকারের দেশ স্বাধীন হয়েছে রবিবার ২৮ মে। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে এই ভাষায় বর্ণনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সকালে ইকোপার্কে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, কংগ্রেস আমলে অধ্যক্ষ মীরা কুমার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা নতুন কিছু করেনি।
নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না যাওয়া প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেছেন, ইচ্ছা নেই। তিনি বলেছেন, পুরনো ভবন ভাল ছিল। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, আসলে ভাগ্যে নেই। এমন পার্টি করেন যারা দেশের গৌরবের সাক্ষী থাকতে পারল না। এমন দলকে ব্যান করে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সিলেবাস থেকে ইকবাল বাদ যাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনিই প্রথম পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন। দেশ বিভাজনের রেখা তিনিই প্রথম টেনেছিলেন। ওর জন্য দেশভাগ আর ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ। এই বিভাজন রেখার কারণেই পাকিস্তান আজ ভিখারি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
১২ জুন পটনায় বিরোধীদের মেগা বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, মনে আছে ২০১৯ সালে ব্রিগেডে একটা সভা হয়েছিল? সব দল এসে মাছ ভাত আর রসগোল্লা খেয়ে গিয়েছিল। ফল কী হয়েছিল? মোদীজি ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর ওই বৈঠকের যে মূল হোতা ছিল তাদের ১২ টা সিট কমে গিয়েছিল।
তৃণমূলের নাম না করে দিলীপ ঘোষ বলেন, তারা যেন সতর্ক থাকে। তিনি (দিলীপ ঘোষ) বলেন, যাঁরা এইভাবে দেশের গরিমাকে মোদী বিরোধিতার নাম করে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন, তাঁরা যেন মনে রাখেন যে যে মোদীর পিছনে লেগেছে, তারা ডুবেছে, সেই নেতা ডুবেছে, সেই দেশ ডুবেছে। এব্যাপারে তিনি ইমরান খানের উদাহরণ টেনেছেন।
কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, কী রকম দ্বিচারিতা দেখুন। বলছে কুড়মিরা আক্রমণ করেনি। বিজেপি আক্রমণ করেছে। এই সুযোগে বিজেপি কে পিষে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, খুব সাবধান। বিজেপির গায়ে হাত দেবেন না। হাত জ্বলে যাবে। তিনি বলেন, এখানে ( ইকো পার্ক) দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছেন, জঙ্গলমহলে যদি একজন বিজেপি কর্মীর গায়ে হাত দেওয়া হয়, তাহলে তৃণমূলের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। থাকতে দেওয়া দেব না। বসতে দেওয়া হবে না। এর জের কালীঘাট পর্যন্ত যাবে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতা করার জন্য ইচ্ছা করে গাড়ি ভেঙে এইসব নাটক করা হচ্ছে। এভাবে কেউ নেতা হতে পারে না। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভেঙে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, আদিবাসী মেয়ে। দ্রৌপদী মুর্মু যখন রাষ্ট্রপতি ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন কেন ভোট বয়কট করেছিলেন? তখন উনি আদিবাসী ছিলেন না?