দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ৯ ঘন্টা তল্লাশি সিবিআইয়ের
নিউজ ডেস্ক::নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) নয়া মোড়! দক্ষিণ দমদম পুরসভা থেকে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার সকাল থেকেই কার্যত সক্রিয় হয়ে ওঠেন সিবিআই আধিকারিকরা। একযোগে অন্তত ২০ টি পুরসভাতে তল্লাশি চালায় সিবিআই।
আর এই দীর্ঘ তল্লাশিতে একাধিক নথি খতিয়ে দেখেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্মত সমস্ত ফাইলও খতিয়ে দেখা হয়েছে। পাশাপাশি পুরসভাগুলির চেয়ারম্যানদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর। তবে দক্ষিণ দমদম পুরসভা থেকে একাধিক নথি তদন্তকারীরা নিয়ে গিয়েছেন বলে খবর।
ওই পুরসভার অন্তত তিনটি আলমারি একেবারে ঘেঁটে দেখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর সেখান থেকে বহু ফাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে রাত ৯টা নাগাদ সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে বের হন সিবিআই আধিকারিকরা।
এদিন সকালে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পৌঁছন তদন্তকারীরা। সকাল থেকে টানা সেখানে তল্লাশি অভিযান চলে বলে খবর। সেখান থেকে বের হওয়ার সময়েও বহু নথি সাদা কাপড়ে মুড়ে সিবিআই আধিকারিকরা নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে নিয়ে যাওয়া নথিতে কি আছে তা স্পষ্ট নয়।
সেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত বলে খবর। বলে রাখা প্রয়োজন, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আর তার কাছ থেকেই পুরসভার ব্যাপক দুর্নীতির খোঁজ পান আধিকারিকরা। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুরু হয়েছে তদন্ত।
এফআইআর করার পরেই একেবারে কোমর বেঁধে তদন্তে নেমে পড়ল সিবিআই। একযোগে তদন্ত চলছে দমদম, হালিশহর, বরাহনগর, টিটাগড়, পানিহাটি, কামারহাটি, কাঁচরাপাড়া, নিউ ব্যারাকপুর, টাকি পুরসভায়। এমনকি দক্ষিন দমদম পুরসভাতেও তল্লাশি চলেছে।
পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের হুগলির বাড়িতেও সিবিআই এদিন তল্লাশি চালায়। যদিও কয়েক ঘন্টা পরেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান বলে খবর। নিয়োগ দুর্নীতির পর পুরসভাতেও নিয়োগে দুর্নীতির প্রকাশ্যে আসায় অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল। যদিও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা এবং রাজনীতির অভিযোগ করেছেন ফিরহাদ হাকিম।
এমনকি ট্রেন দুর্ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই পুরসভায় সিবিআই তল্লাশি বলেও দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের তদন্তে এই তদন্ত চলছে বলে পাল্টা শাসকদলকে তোপ বিজেপি সহ বিরোধীদের। ফলে এহেন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।