বরুণদেবকে তুষ্ট করতে মহাযজ্ঞ হাওড়ায়
নিউজ ডেস্ক::বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে রাজ্যবাসী। অসহ্য গরমে জেরবার দশা। তার উপরে লোডশেডিং। সব মিলিয়ে একেবারে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন সকলে। কবে কখন বৃষ্টি হবে একটু,তার জন্য একেবারে চাতক পাখির অপেক্ষা। বৃষ্টির দেবতা বরুণদেবকে তুষ্ট করতে এবার মহাযজ্ঞ করে ফেলল হাওড়ার বাসিন্দারা।
হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে শ্রীপঞ্চমুখী হনুমান মন্দিরে। প্রাক্তন পুরপিতা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শৈলেশ রাইয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে ওই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। এদিন বরুণদেব এবং ইন্দ্রদেবের পূজা প্রার্থনা হয়। পাশাপাশি যজ্ঞ ও পুজো পাঠ হয়। প্রার্থনা যাতে বৃষ্টি নামে। ধরাধামে যাতে বৃষ্টিতে গরমের হাত থেকে স্বস্তি মেলে। তাই বৃষ্টির জন্য তারা যজ্ঞের আয়োজন করেন।
শুধু বরুণ দেবের জন্য মহাযজ্ঞই নয় একাধিক জায়গায় ব্যাঙের বিয়ের আয়োজনও হচ্ছে। গতকাল একাধিক জায়গায় ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে বরুণদেবকে তুষ্ট করার চেষ্টা করেছে। পুরোটাই মানুষের বিশ্বাস। বলা হয়ে থাকে বৃষ্টি না হলে ব্যাঙের বিয়ে দিলে নাকি বৃষ্টি হয়। যদিও এর সত্যতা কারোরই জানা নেই।
মে মাসের শেষ থেকেই গরমের দাপট বেড়েছে গোটা রাজ্যে,দহনে জেরবার দশা রাজ্যবাসীর। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে পৌঁছে গিয়েছে। যেখানে ৫ মে থেকে গোটা রাজ্যে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। সেখানে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ জুড়ে কেবল তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলা। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী।
রাজ্যগুড়ে তীব্র দহন। ৪০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা কোথাও নেই। তার উপরে আবার লু বইছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলা গুলিতে। আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যবাসী। অবশেষে প্রায় ১ সপ্তাহ পর কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছে। এখন বঙ্গে কবে বৃষ্টি শুরু হবে তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। তবে শনিবার থেকে আবহাওয়া বদলের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
কেরলে গতকাল রাতে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যেই কেরলের একাধিক জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে ভারী বর্ষণ। আগামীকােলর মধ্যেই কর্নাটকের উপকূলবর্তী জেলা সহ একাধিক জায়গায় বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ািএমডি। আশা করা হচ্ছে জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই বঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে।