ভাঙা হচ্ছে বাহানগা বাজার হাইস্কুলের একাংশ
নিউজ ডেস্ক::ভেঙে ফেলা হচ্ছে বাহানগা বাজার হাই স্কুল। করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর এই স্কুলের একটা অংশকে অস্থায়ী মর্গ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
একের পর এক সাদা কাপড়ে মোড়া মৃতদেহ নিয়ে এসে রাখা হয়েছিল স্কুলের মেঝেতেই। চারপাশ জুড়ে শুধুই রক্ত আর ভয়ঙ্কর এক ছবি ফুটে উঠেছিল স্কুলে। আর সেই আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের। এই অবস্থায় স্কুল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের উপস্থিতিতে স্কুল ভেঙে ফেলার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে দেহগুলি সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ওডিশার একাধিক মর্গে দেহগুলিকে রাখা হয়েছে। মূলত স্কুলে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা না থাকার কারনে দেহগুলি পচন ধরতে শুরু করে।
শুধু তাই নয়, রীতিমত দুর্গদন্ধ বের হতে শুরু করে। এই অবস্থায় দ্রুত দেহগুলিকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। এবং তা শেষ হওয়ার পরেই সেই জায়গাটি প্রশাসনের তরফে পরিস্কার করে দেওয়া হয়। এমনকি স্যানেটাইজ প্রক্রিয়াও করা হয়।
কিন্তু এরপরেও স্থানীয় মানুষ রীতিমত আতঙ্কে কাটা। সামনে গেলেই নাকি পচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থায় ওই জায়গাতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করেছেন গ্রামবাসীরা। মূলত এত দেহ! আত্মার শান্তি কামনা করেই এই পুজোর ব্যবস্থা স্থানীয় মানুষজনই করেছেন। এজন্যে একজন পুজারীকে পুরো দায়িত্বও তাঁরা দিয়েছেন। স্কুল খুললে পড়ুয়ারা যাতে ভয় না পায় সেজন্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানাচ্ছনে গ্রামের মানুষ।
এই মুহূর্তে ওডিশার স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি চলছে। আগামী ১৯ তারিখ স্কুলগুলির খোলা রয়েছে। সেই মতো খুলবে বাহানগা বাজার হাই স্কুলও। কিন্তু এখন থেকে স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে আতঙ্কে শিক্ষক থেকে স্কুল পড়ুয়ারা। এই অবস্থায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বাহানগা বাজার স্কুলের একাংশ ভেঙে ফেলার দাবি তুলেছেন। আর সেই মতো ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে স্কুল ঘুরে দেখেছেন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা।
বলে রাখা প্রয়োজন, আজ থেকে এক সপ্তাহ আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার খবর আসে। দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির উপর উঠে যায় করমন্ডোল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন। উল্টে যায় একের পর এক বগি। ভয়াবহ এও দুর্ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে বহু মানুষকে চিহ্নিত করা গেলেও এখনও সম্ভব হয়নি চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ করা। এই অবস্থায় বাহানগা বাজার হাইস্কুলকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত প্রশাসনের।