শক্তি বাড়িয়ে আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়
নিউজ ডেস্ক::আরও শক্তি বাড়াচ্ছে বিপর্যয়। বিপর্যয়ের ধাক্কায় দেরিতে হলেও কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছে। কিন্তু আরব সাগরে এখনও শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বিপর্যয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সেটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি।
এর অভিমুখ পাকিস্তানের দিকে হলেও ভারতের উপকূলেও তার প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে গুজরাত উপকূলে প্রভাব পড়বে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের। আরব সাগরে তৈরি হওয়া মরশুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এই বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় মোখার অভিমুখ ছিল মায়ানমার এবং বাংলাদেশ। ভয়াবহ ছিল তার গতিবেগ। ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে মায়ানমার এবং বাংলাদেশের কক্স বাজারে আছড়ে পড়েছিল মোখা।
তারপরে আবার আরব সাগরে তৈরি হতে শুরু করে বিপর্যয়। তার জেরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু থমকে গিয়েছিল মাঝপথে। সব জলীয় বাষ্প শুষে নিয়ে শক্তি বাড়াচ্ছিল বিপর্যয়। প্রায় ১ সপ্তাহ দেরিতে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছে এবার। তার অন্যতম কারণ ছিল সেই বিপর্যয়। আবার এই বিপর্যয়ের ধাক্কাতেই গতি পায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু।
মৌসম ভবন জানিয়েছে এর সরাসরি কোনও প্রভাব ভরতে পড়বে না। পাকিস্তানের করাচি বন্দরে ল্যান্ডফল করতে চলেছে বিপর্যয়। তার আগে লাগাতার শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বিপর্যয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরব সাগরে আরও শক্তি বৃদ্ধি করবে বিপর্যয়। তার প্রভাব ভারতের উপকূলবর্তী কয়েকটি জায়গায় পড়তে শুরু করেছে।
গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত উপকূলে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গুজরাতে এর প্রভাব বেশি পড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। ইতিমধ্যেই আরব সাগরের উপকূলবর্তী একাধিক রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং গুজরাতের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আগামী ২ দিনে শক্তি বাড়িয়ে বিপর্যয় পাকিস্তান উপকূলের দিকে এগোতে শুরু করবে। তার প্রভাব পড়তে শুরু করে দিয়েছে। গোয়া এবং গুজরাত উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। গুজরাত উপকূলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গুজরাতের জামনগর এলাকা থেকে ৭৬০০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া দিচ্ছে। উপকূলবর্তী প্রায় ২২টি গ্রাম খালি করে দেওয়া হয়েছে। জাতিয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১৫টি টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ১১টি টিম কাজ করছে। খোলা হয়েছে কনট্রোল রুমও।