দুই জেলায় প্রার্থী ঘোষণা বামফ্রন্টের

0 0
Read Time:4 Minute, 12 Second

নিউজ ডেস্ক : এবার সাগরদিঘি মডেলে ভোট হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল গত কয়েকমাস ধরে। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পরের দিনই বামেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় ধাক্কা খেল সেই মডেল। কংগ্রেসকে পাত্তা না দিয়েই দুই জেলায় প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বামেরা।

খানিকটা অবাক করে দিয়েই বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরদিনই প্রার্থী নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দেয় সব রাজনৈতিক দল। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে এতদিন সাগরদিঘি মডেল বলে চিৎকার করা বাম-কংগ্রেসের সে ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের কোনো আলোচনা তো হয়ইনি, উল্টে কংগ্রেসের জন্য কোনো আসন ছেডে না রেখেই দুই জেলার জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে বামফ্রন্ট। ফলে পঞ্চায়েত ভোটে বাম ও কংগ্রেসের জোট বিশ বাঁও জলে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের আসনগুলিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিল বামফ্রন্ট। পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের ৬০টি আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে জেলা নেতৃত্ব। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কার্যালয়ে জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মোট ৬০টি আসনের মধ্যে ৫৫টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে সিপিএম্। ৫টি আসনে সিপিআই প্রার্থী দেবে। কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো আসন সমঝোতা হয়নি বলে জানিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক। তাই বামফ্রন্ট তাদের মতো করে ৬০ আসনেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল।

পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দেন বামফ্রন্ট। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদে মোট আসন সংখ্যা ৬৬। তার মধ্যে এদিন ৬২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। ৬২টির মধ্যে ফরওযার্ড ব্লক তিনটি, আরএসপি ও সিপিআই একটি করে আসনে প্রার্থী দেবে। বাকি আসনগুলিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে সিপিএম।

তাহলে কি ৬২-র বাইরে বাকি চারটি আসন কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে রাখল বামফ্রন্ট। তা অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব। বাকি চার আসনে প্রার্থীদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ সিপিএমই ওই চার আসনে পরে প্রার্থী দেবে। মোট ৬১টি আসনে লড়বে সিপিএম।

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস কেউই জোট নিয়ে কোনো অবস্থান জানায়নি। উল্লেখযোগ্যভাবে নিরুত্তর উভয়েই। সাগরদিঘিতে বাম-কংগ্রেস জোট করে সরকারি দল তৃণমূলকে হারিয়ে দিয়েছিল। তারপর সেই বিধায়ক তিন মাসের মধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিলেও সাগরদিঘি মডেলের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে দুই দলই আশাবাদী ছিল।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!