রাজ্যপালের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি অধীরের
নিউজ ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায় জেলায় মনোনয়ন। মনোনয়নের প্রথম দিনই রক্ত ঝরেছে মুর্শিদাবাদে। খুন হয়েছেন এক কংগ্রেস কর্মী। আর তারপরই রাজ্যপালকে চিঠি লিখে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ডাঃ সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিথে তিনি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রার্থনা জানান। তিনি লেখেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। রাজ্যপাল যেন এই মর্মে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উদ্যোগী হন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, এটাই ছিল অধীর চৌধুরীর আর্জি।
অধীর চৌধুরী লেখেন, “আমি আপনাকে জানাতে চাই যে, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন সংঘটিত করার বিষয়ে মনোযোগ দিন। আজ মুর্শিদাবাদে একজন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ খুন হয়েছেন। তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। রেবিকা বিবি নামে এক মহিলা-সহ আরও দুইজন হাসপাতালে জীবনের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।”
অধীর চৌধুরী আরো জানান, “বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সর্বত্র জঙ্গলের রাজত্ব বিরাজ করছে। শাসক দলের গুণ্ডা-দুষ্কৃতীরা বিরোধী দলের কর্মীদের শিকার করছে। রাজ্যের প্রতিটি কোণায় কোণায় অরাজকতা বিরাজ করছে। গণতন্ত্র আজ ভূলুণ্ঠিত। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বাংলার শাসকদল।”
এই ধরনের পরিস্থিতিতে বিরোধীদের পক্ষে ভোটে লড়াই করা দুরুহ কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া। এটি অনুধাবন করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে তিনি জানান। খড়গ্রামের ঘটনা তাঁর প্রমাণ। শাসক দলের নেতারা মুখ বলছেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা, কিন্তু জেলায় জেলায় সন্ত্রাসপূর্ণ আবহ তৈরি করছেন।
উল্লেখ্য, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে হচ্ছে ৮ জুলাই। তার জন্য ৯ জুন থেকেই মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হচ্ছে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে অশান্তি। জেলায় জেলায় অশান্তির খবর মিলতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই আদালতেও কেন্দ্রীয বাহিনী চেয়ে আবেদন করেছে বিরোধীরা। এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শরণাপন্ন হলেন।
রাজ্যপালকে অনুরোধ করে অধীর চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না এনে রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন করলে বাংলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে সুদূরপ্রসারী স্বপ্ন। অতএব, আমি বিনীতভাবে আপনার কাছে অনুরোধ করছি যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে উল্লিখিত নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে আপনার দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করি।