অভিষেকের নবজোয়ার ঠাকুরবাড়িতে প্রবেশের মুখেই ধিক্কার বার্তা
নিউজ ডেস্ক::নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানিয়ে পোস্টার পড়ল ঠাকুরনগরে মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরবাড়িতে। শনিবারই বনগাঁয় প্রবেশ করেছে অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা। ওইদিনই লক্ষ্য পড়ে ঠাকুরবাড়িতে পোস্টার পড়তে। এদিন পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টারে লেখা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরকে কুরুচিকরভাবে অপমান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানাই। তার নীচে লেখা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ। এমন পোস্টারে ছেয়ে যায় গোটা ঠাকুরবাড়ি। উল্লেখ্য মালদহের এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মতুয়াদের আরাধ্য হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম ভুল উচ্চারণ করেন।
এই ঘটনায় মতুয়াদের একাংশ ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা প্রতিবাদে পথে নামেন, বিক্ষোভ দেখান। পথ অবরোধও করা হয়। এখন অভিষেকের সফরের আগে ঠাকুরবাড়িতে পোস্টার দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানো হয়। এই গটনায় বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, মতুয়াদের আরাধ্যকে ব্যঙ্গ করলে মতুয়ারা তো প্রশ্ন তুলবেই।
শান্তনু ঠাকুর বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই ঠাকুরনগরে আসছেন। মতুয়াতা তাদের অপমান মেনে নেবেন কেন? এদিন অভিষেক আসার আগে পুলিশকে ঠাকুরবাড়ির দালান থেকে সরিয়ে দেন শান্তনু ঠাকুর। বলেন, কে অভিষেক, তিনি তো আদতে একজন সাংসদ। তাঁর নেত্রী অপমান করছেন, তাঁকে তো তার জবাব পেতেই হবে।
বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর বলেন, শান্তনু ঠাকুর নিজে লোকজন লাগিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফ্লেক্সগুলি লাগিয়েছেন। তাঁর বাড়ি থেকেই ফ্লেক্সগুলি বেরিয়েছে, আমি তা নিজে দেখেছি। কোনো মতুয়া ভক্ত এই কাজ করেননি।
মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ঠাকুরবাড়িতে সবাই আসতে পারেন। তাঁকে অপমান ঠাকুরবাড়ির রীতি নয়। আমাদের ঠাকুরবাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসেছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছিলেন। আমরা তাঁদের স্বাগত জানিয়েছি। আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে অপমানকর কিছু করিনি।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঠাকুরবাড়িতে আসছেন তাঁকে কেন স্বাগত জানানো হবে না, কেন তাঁকে অপমান করা হবে। আর মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এভাবে ধিক্কার পোস্টার কেন, ঠাকুরবাড়ি বা মতুয়ারা কাউকে কোনোদিন অপমান করে না। এই সংস্কৃতি বিজেপির।
তৃণমূলের বনগাঁ সাংসগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, এটা বিজেপির অপসংস্কৃতি। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেই এই অপসংস্কৃতির জবাব পাবে বিজেপি। মতুয়া বিজেপিকে জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা বনগাঁয় প্রবেশ করেন শনিবারই। এদিন ঠাকুরনগরের মতুয়া মহাসঙ্ঘ দর্শনের পর নবজোয়ার যাত্রায় জনসভা করবেন অভিষেক।