জকোভিচের দখলেই ফরাসি ওপেন
নিউজ ডেস্ক::নোভাক জকোভিচ নাম লেখালেন ইতিহাসের পাতায়। সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডটি এককভাবে দখলে এলো সার্বিয়ান কিংবদন্তির। ফরাসি ওপেনের ফাইনালে জোকার হারালেন ক্যাসপার রুডকে।
জকোভিচ এদিন ঝুলিতে পুরলেন কেরিয়ারের ২৩তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব। পিছনে ফেলে দিলেন রাফায়েল নাদালকে। নাদাল এখনও অবধি ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জিতেছেন।
মহিলাদের সিঙ্গলসে ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব রয়েছে সেরেনা উইলিয়ামসেরও। তবে পুরুষ ও মহিলা বিভাগ মিলিয়ে সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড মার্গারেট কোর্টের দখলে। সেই রেকর্ড টপকাতে জকোভিচকে আর দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জিততে হবে। যা খুব কঠিন ব্যাপার নয়।
৩৬ বছর ২০ দিনের মাথায় জকোভিচ এবারের ফরাসি ওপেন খেতাব জিতলেন সবচেয়ে বেশি বয়সের টেনিস তারকা হিসেবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম অন্তত তিনবার করে জেতার নজির গড়লেন বিশ্বের প্রথম পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে। কেরিয়ারের ৩৪তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে জকোভিচের প্রতিপক্ষ ছিলেন ক্যাসপার রুড।
এবারের ফরাসি ওপেনে জকোভিচ খেললেন তৃতীয় বাছাই হিসেবে। সেমিফাইনালে হারিয়েছিলেন বিশ্বের ১ নম্বর কার্লোস আলকারাজকে। ফাইনালে চতুর্থ বাছাই রুডকে ৩ ঘণ্টা ১৩ মিনিটের দ্বৈরথে পরাস্ত করলেন ৭-৬ (৬-১), ৬-৩, ৭-৫ সেটে। ফাইনাল দেখতে হাজির ছিলেন টম ব্র্যাডি, কিলিয়ান এমবাপে, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, অলিভিয়ের জিরু, হিউ গ্রান্টের মতো তারকারা।
রুডের বিরুদ্ধে পাঁচটি সাক্ষাতে পাঁচবারই জিতলেন জকোভিচের। সেই সঙ্গে ফের বিশ্বের ১ নম্বর টেনিস তারকা হওয়াও নিশ্চিত করে ফেললেন জকোভিচ। প্রথম সেট একটা সময় ৪-৪ ছিল। রুড ভালোই লড়াই চালাচ্ছিলেন। ৭৩ মিনিট খেলা চলার পর প্রথম সেট গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে দাপট দেখিয়ে ১ ঘণ্টা ২১ মিনিটে প্রথম সেট জেতেন জোকার।
ব্রেক দিয়ে দ্বিতীয় সেট শুরু করেন জকোভিচ। এগিয়ে যান ৩-০ ব্যবধানে। ২ ঘণ্টা ১৩ মিনিটের মধ্যে তিনি জিতে নেন দ্বিতীয় সেটটি। তৃতীয় সেটেও ভালোই লড়াই চলছিল। কিন্তু একাদশ হেমে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক জকোভিচকে অ্যাডভান্টেজ এনে দেয়। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।
জকোভিচ ২০১৬, ২০২১ সালের পর এবার ফের ফরাসি ওপেন খেতাব জিতলেন। সবচেয়ে বেশিবার জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (২০০৮, ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৫, ২০১৬, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩)। উইম্বলডন জিতেছেন ২০১১, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৮, ২০১৯, ২০২১ ও ২০২২ সালে। ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে জিতেছেন ইউএস ওপেন।