তৃণমূলের পার্টি অফিস হয়ে গেল কংগ্রেসের
নিউজ ডেস্ক::বেশ কয়েকমাস হয়ে গেল বাংলা থেকে অনেক দূরে তিহাড়ে বন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পঞ্চায়েত ভোটের দামামা তাঁর জেলাতেও। তবে কোথায় যেন ভিন্ন পরিস্থিতি। কেননা ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের অফিস। বীরভূমের ময়ূরেশ্বর্র এই ঘটনা জেলার রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছে।
সোমবার ছিল মনোনয়ন পত্র দাখিলের তৃতীয় দিন। তবে তার আগে রবিবার ময়ূরেশ্বর এক ব্লকের ঝিকড্ডা পঞ্চায়েতের কোট গ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসের রঙটাই বদলে গিয়েছে। শাসক তৃণমূলের পতাকা সরিয়ে সেখানে কংগ্রেসের পতাকা লাগানো হয়েছে।
পার্টি অফিসের গায়ে জোড়া ফুল তুলে দিয়ে হাতের প্রতীক আঁকা হয়েছে। কেন এই পরিস্থিতি তাও সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় এই পরিস্থিতি। নেতাকে অনুসরণ করেছেন কর্মী সমর্থকরা।
কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, ময়ূরেশ্বর বিধানসভার ঝিকোড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন কয়েকশো কর্মী। ময়ূরেশ্বরে বিধানসভার মল্লারপুরে কোর্ট গ্রামে তৃণমূল বুথ সভাপতি সানোয়ার শেখের নেতৃত্বে প্রায় ৬০০ কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি সৈয়দ কাসাফদ্দোজ্জা শেখ।
দলবদলের পরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় সানোয়ার শেখকে। তিনি বলেন, জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু এখনকার তৃণমূল আর আগেকার তৃণমূলের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয়েছে। দলীয় নেতৃত্বের অসহযোগিতার কারণেই তিনি দল ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ করা প্রয়োজন ২০১৮-তে জেলায় পঞ্চায়েতের প্রায় সব আসনে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা পরিষদের ৪৪ টি আসনের সবকটিতেও জয়লাভ করেছিল অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। সেই জেলাতেই কিনা তৃণমূলের পার্টি অফিস গেল কংগ্রেসের দখলে।
যদিও এব্যাপারে সাফাই দিয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বান বিকাশ রায়চৌধুরী। নেতা ও কর্মীরা কেন দল ছেড়েছেন, তা তারা খতিয়ে দেখবেন। তবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তিনি পার্টি অফিস দখলের অভিযোগ তুলেছেন এবং ঘটনাটিকে খারাপ বলে বর্ণনা করেছেন।