কলকাতা বিমানবন্দরের আগুনে আতঙ্কিত কর্মীরাও

0 0
Read Time:3 Minute, 7 Second

নিউজ ডেস্ক::রাত নটা বেজে গেলেও, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বিমানবন্দরের ভিতরটা ছিল স্বাভাবিক। তার মধ্যে সিকিউরিটি চেকিংয়ে হঠাৎই আগুন (Airport Fire)। মুহূর্তেই লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমের দিকে বেশ কয়েকজন যাত্রী শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন বলে জানিয়েছেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই যাত্রী থেকে কর্মী সবাইকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিমানবন্দরের এক কর্মী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডিউটি করতে গিয়েই হঠাৎ বিধ্বংসী আগুন (Airport Fire)। যা কোনও দিনই প্রত্যক্ষ করেননি। যে কারণে চমকে যাওয়ার পাশাপাশি ভয় পান। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে চলে আসে।

আগুন লাগার ( Airport Fire) সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়ায় ভরে যায় ডিপারচার সেকশন। ঘটনাস্থল ও আশপাশ থেকে যাত্রী এবং কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মীরা। যাত্রী থেকে কর্মী সবাই সুস্থই রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগুন লাগা এবং পরবর্তী প্রায় একঘন্টা সময় বিমানবন্দরের একটি অংশ দিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়।

আগুন লাগার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কেন স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ করল না? কেই আগুন বিধ্বংসী (Airport Fire) আকার নিল সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তবে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন যে পোর্টালের কাছে আগুন লেগেছিল, সেখানে স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র ছিল না। তবে কেন ছিল না, তা নিয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

যেখান দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ, বহু ভিআইপির যাতায়াত, সেখানে কেন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় এই পরিস্থিতি সেই প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে দমকলকর্মীরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে,গতকাল রাত নটা কুড়ি নাগাদ আগুন (Airport Fire) লাগে। এবং নটা চল্লিশ নাগাদ তা নিয়ন্ত্রণে আসে। আর রাত সোয়া দশটার পরে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয় বলে দাবি করা হয়েছে। বিমানবন্দরে আসা বিমানগুলি থেকে যাত্রীদেরও আস্তে আস্তে নামিয়ে আনা হয়। যাঁরা সেই সময় বিমানেই আটকে পড়েছিলেন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!