“মন কি বাত” অনুষ্ঠানে ডঃ সুকান্ত মজুমদারের সাংবাদিক সম্মেলন

0 0
Read Time:8 Minute, 35 Second

নিউজ ডেস্ক::সুকান্ত মজুমদার বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন।

রাজনৈতিক মৃত্যুশূন্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
মুখ্যমন্ত্রী চোখ বন্ধ করতে বলেছেন। নির্বাচন কমিশনার চোখ বন্ধ করে রেখেছেন। তাই কানা হয়ে গেছেন নির্বাচন কমিশনার।

মুখ্যমন্ত্রী বলছেন – তৃণমূল ২ কর্মী মৃত, এই বিষয় তিনি বলেন,

মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলবেন তা নিয়ে আমাদের কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ডিজির কথায় মৃতের সংখ্যা বলার কথা নির্বাচন কমিশনারের। তাহলে কর্তাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কোন সমন্বয় নেই।

অতি সক্রিয়তা? প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,

আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের কোন কর্মীর মৃত্যুরও বিরোধিতা করি। যদিও কংগ্রেসের দাবি গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের মৃত্যু হয়েছে।

দিনহাটায় বিজেপি কর্মী মৃত, এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

কোচবিহারের দিনহাটা উদয়ন গুহর জন্য দুষ্কৃতিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলব এখনও ব্যবস্থা নিন। মানুষ কোন অত্যাচার মেনে নেয় নি। পুলিশ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম বন্ধ করুন।

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে যা বলার হাইকোর্ট বলে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রাজ্য নির্লজ্জের মত যাচ্ছে। সবাই মীরা পান্ডে হতে পারে না, কিন্তু এত নির্লজ্জ পদলেহন এর আগে কোন কমিশনার করেনি।

ভোট কর্মীরা ভীত সন্ত্রস্ত,এ রাজ্যের ট্র‍্যাক রেকর্ড ভালো নয়। এর আগেও ভোট কর্মীর দেহ রেল লাইনে উদ্ধার হয়েছে। পাঁচ বছরে জানা যায়নি ওটা কিভাবে মৃত্যু! প্রিসাইডিং ফাস্ট পোলিং কেন্দ্র বাহিনী ছাড়া নির্বাচনে যাহার সাহস করবে কি করে!

সায়নী ঘোষ এর বক্তব্যের বিষয় তিনি বলেন,

সায়নী ঘোষ রাজনীতিতে নতুন। লিখে দেওয়া ডায়লগ পড়া ওর অভ্যেস। এবারও কেউ লিখে দিয়েছে।

ভোটের কাজে চুক্তিভিত্তিক কর্মী বিষয় তিনি বলেন,

আদালত অবমাননা হচ্ছে। কমিশনকে আবার আদালত ডেকে পাঠাবে।

রাজ্যপালের আয় ব্যয় নিয়ে কুনাল ঘোষের টুইট প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

কুনাল ঘোষ এর মত ছোটলোক এ ধরনের টুইট করবে এটাই স্বাভাবিক। মদন মিত্র কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। ভাগাড় থেকে সুগন্ধ আসে না

বিরোধীদের চেয়ারম্যান রাজ্যপাল – কুণাল, এ বিষয় তিনি বলেন,

এখনো পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের একজন মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় ভাঙ্গরে যে দৃশ্য দেখা গেছে, মনে হচ্ছে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা চলছে। রাজ্যপাল সেখানে ছুটে গেছেন, ভারতীয় সংবিধান বাঁচাতে। আইএসএফ করুক, উগ্র নকশাল করুক, সংবিধানিক অধিকার দেখার দায়িত্ব রাজ্যপালের। গোপাল গান্ধী হার হিম করা করা সন্ত্রাসের কথা বলতেন সিপিএমের বিরুদ্ধে, হাততালি দিতেন কেন তৃণমূল নেতারা

জেড নিরাপত্তায় শওকত, এ বিষয় তিনি বলেন,

শওকত মোল্লা ভাড়া করা গুন্ডা নিয়ে ভাঙ্গুরে গিয়ে গোলমাল করেছে। যেদিন পুলিশের সুরক্ষা উঠে যাবে পাবলিক পিটিয়ে মারবে। সওকাতের শেষ সময় অন্য রাজ্যে কাটবে।

বিজেপির দলদাস কেন্দ্রীয় বাহিনী – কল্যাণ, এ বিষয় তিনি বলেন,

যে যেমন দুনিয়াকে দেখে তেমন। কল্যাণদারা রাজ্য পুলিশকে দলদাশ করে ফেলেছেন, ভাবছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও কেন্দ্রীয় সরকার তাই করছে। গণতন্ত্র আছে বলেই কল্যাণ বাবু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন , মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপি নেতারা দেখা করতে পারেন না।

সন্ত্রাস রুখতে রাজভবনের হেল্পলাইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে। তাই এই হেল্প লাইনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমাদের এখানে সন্দেশখালীর প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়ে বসে রয়েছেন. রোহিঙ্গাদের দিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন ভেবে দেখুন.

ব্যালট বক্সে বিরোধীদের হাত থেকে যাবে – মদন, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

রিটারমেন্ট এর আগে প্রচারে থাকতে মদন মিত্র এসব বলছেন। উনি রাজ্যপালকে রজনীকান্ত বলছেন। আদতে উনি রজনীকান্ত। মেয়েদের উপর টাকা ছড়ানোর শুটিং টুটিং করেন ওগুলোই ভালো।

মানকি বাতে এমার্জেন্সি, এ বিষয় তিনি বলেন,

গণতন্ত্রের কালো দিন জরুরি অবস্থার কথা মানুষের স্মরণ করা উচিত। পশ্চিমবঙ্গে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। আপনাকে বিরোধী হলে শ্লীলতা হানি সহ্য করতে হবে। এই অঘোষিত জরুরি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই বক্তব্যের জেরে আরো বাড়বে।

প্রতিরোধের বার্তা মমতার, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

রোধ নাহলে প্রতিরোধ হবে না। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে পাঁচ মিনিটে ভাঙ্গড় শান্ত হয়ে যেত। মুখ্যমন্ত্রী আইএসএফকে ভয় পাচ্ছেন।

অভিষেককে রাজ্য সভাপতি করার প্রস্তাব ফিরালেন মমতা, এ বিষয় তিনি বলেন,

এগুলো আই ওয়াশ। অল্প অল্প করে নামটা পুস করছেন।

নন্দীগ্রামে মনোনয়নে ব্যর্থ বিজেপি, এ বিষয় তিনি বলেন,

নন্দীগ্রামে শুধু না সব জায়গাতেই বিজেপি প্রার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। হাড়োয়া থেকে নন্দীগ্রাম – জীবনে ঝুঁকি নিয়ে কেউ তো মনোনয়ন দিতে যাবে না। আমার সব প্রার্থীর কর্মীদের কুর্নিশ।

মানকি বাতে কুস্তিগীরদের কথা, এ বিষয় তিনি বলেন,

কুস্তিগীরদের আন্দোলন উঠে গেছে। তদন্ত চলছে, অমিত শাহ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সঙ্গে সঙ্গে তো কোন পদক্ষেপ হবে না।

মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ, এ বিষয় তিনি বলেন,

আমাদের সামনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া আর কোন পদ্ধতি খোলা নেই। গতবারও চার থেকে পাঁচ হাজার প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছিল। এবারও চেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে।

দিনহাটায় কর্মী খুনের অভিযোগ, এই বিষয় সুকান্ত মজুমদার বলেন,

উদয়ন গুহ আর তার দলবল খুন করেছে। একদিন ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে তৃণমূলের।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!