পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপি
নিউজ ডেস্ক::বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে উলটপুরাণ হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জেলায়! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েতের একটি আসনে জয়ী হল বিজেপি। এতদিন যা হয়নি, তা-ই হল বঙ্গে। তৃণমূলের শাসনামলে ২০২৩-এ শাসকদল ছাড়া বিরোধীরাও জয়ী হচ্ছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
পূর্ব বর্ধমানে সিপিএম এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। মনোনয়ন পর্বে সিপিএমের এই জয়ের পর বিজেপিরও আর খালি হাত থাকল না। তারাও দক্ষিণ দিনাজপুরে একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল। ইতিহাস তৈরি হল সুকান্ত মজুমদারের জেলায়।
এতদিন দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে। ২০১৮-তে রেকর্ডসংখ্যক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবার সংখ্যাটা সেই পর্যায়ে না পৌঁছলেও নেহাত কম নয়। কিন্তু এরই মধ্যে যে সিপিএমের পর বিজেপিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের রেকর্ড করবে, তা বোঝা যায়নি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের এক পঞ্চায়েতের প্রার্থী অপর্ণা বর্মন। গৃহবধূ অপর্ণাই প্রথম বিজেপি প্রার্থী যিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন। সেদিন দিয়ে তিনি অনন্যা। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী নেই। এমনকী তৃণমূলও কোনো প্রার্থী দেয়নি।
বালুরঘাটের গঙ্গারামপুরের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকাইর গ্রামের প্রার্থী অপর্ণা। মহিলা সংরক্ষিত ওই আসনে তৃণমূল বা সিপিএম বা কংগ্রেস কোনো দলই প্রার্থী দিতে পারেনি বলে বিজেপির দাবি। এই এলাকায় প্রায় সব পরিবারই বিজেপি করেন। তাই হারের ভয়ে কেউ আর এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়নি।
তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি যে জিতেছেন তা তিনি মনোনয়ন পর্বেও জানতে পারেননি বা বিজেপিও বুঝতে পারেননি এই জয়ের কথা। স্ক্রুটনি পর্বেই জানা গেল বিজেপির এই ঐতিহাসিক জয়ের কথা। এই জয়ে স্বাভাবিকভাবেই অপর্ণা বর্মনও খুশি, খুশি বিজেপিও।
অপর্ণা কোনোদিনই পার্টি করেননি। পার্টি করতেন তাঁর স্বামী সাগর বর্মন। তাঁর স্বামীর ইচ্ছাতেই এবার রাজনীতিতে আসা অপর্ণার। তবে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েই যে তিনি ভোটের আগে জিতে যাবেন, তা বোঝেননি তিনি। পঞ্চায়েত দখলে এলে তিনি এলাকার জন্য, এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চান।
এদিকে পূর্ব বর্ধমানের রায়নাতে সিপিএম ভিন্ন অন্য কোনো দল প্রার্থী দিতে পারেনি একটি আসনে। রায়নার পাইটা দুনম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই আসনে প্রার্থী দিতে পারেন অন্য কোনো দলও। আবার রায়বনা ১ নম্বর ব্লকের শ্যামসুন্দর পঞ্চায়েতের একটি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিলেও তা বাতিল হয়ে যায়।