বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলবদল খেলা চলছেই। টিকিট না পেয়ে কম-বেশি সব দলেই বাড়ছে অসন্তোষ। আর সেই অসন্তোষের জেরেই দল ছেড়ে বিরুদ্ধে দলে যোগদান করছেন নেতা-কর্মীরা। সম্প্রতি কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছিল তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক। তবে জলপাইগুড়িতে ছবিটা বদলে গেল।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন ৭০টি পরিবারের সদস্যরা৷ রবিবার রাজগঞ্জ ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বলাইগছ গ্রামে এই যোগদান সভার আয়োজন করা হয়৷ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজগঞ্জ ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এই দলবদল হয়।
যোগদানকারীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজগঞ্জ ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিগত দিনে এঁরা সবাই বিজেপি করতেন। এবার বিজেপি ছেড়ে কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূলে যোগদান করলেন। আসন্ন নির্বাচনে তাঁরা তৃণমূলের হয়ে প্রচার করবেন।
তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রায় অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলেন ৭০টি পরিবারের সদস্যরা। তাঁদরকে এদিন দলে স্বাগত জানানো হয়। ভবিষ্যতে এই এলাকায় বিজেপি মুছে যাবে।
একদিকে যথন বিজেপিকে ভেঙে তৃণমূল জেলায় শক্তি বাড়াচ্ছে সংগঠনের, তখনই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল তারা বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। জলপাইগুড়ির পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি মহিলা প্রার্থীকে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার চাপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে খণ্ডন করে তাদের পাল্টা দাবি, শাসকদলকে কালিমালিপ্ত করতে বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ তুলছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রংধামালি এলাকায় ১৮/১৮৪ নম্বর বুথে। বিজেপির পক্ষ থেক এই মর্মে একটি অভিযোগও জমা পড়েছে।
বিজেপি প্রার্থীর স্বামী বিপ্লব সন্ন্যাসী রবিবার কোতোয়ালি থানায় রাজ্যের শাসকদলের দুই কর্মীর নামে অভিযোগ জানান। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন বিপ্লব নিজে। অভিযোগ, সেইসময়ও হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন বিপ্লবের স্ত্রী মিনতি সন্ন্যাসী। এবারও তার অন্যথা হল না।
এদিন থানায় অভিযোগ করে বিপ্লব জানান, আমার স্ত্রী প্রার্থী হওয়ার পর থেকে আমাকে ও আমরা পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে শাসকদলের তরফে। আমার খাতা কলমের দোকান আছে রংধামালিতে, সেই দোকানেও ভাঙচুর করা হয়। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের তরফে এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, আমাদের প্রার্থীদের শাসকদল হুমকি দিচ্ছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে। তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস বলেন, “যে দুজনের নামে অভিযোগ করা হচ্ছে, দুজনেই ভালো ছেলে। এলাকার সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন বিজেপির বিরুদ্ধে।