মার্কিন মুলুকে রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন মোদী
নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সাল থেকে মোট ৬ বার মার্কিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবার তিনি মার্কিন মুলুকে যাচ্ছেন। এবারের সফর রাষ্ট্রীয় সফরের মর্যাদা পাচ্ছে। কূটনৈতিক প্রোটোকল অনুসারে এটি সর্বোচ্চ ব়্যাঙ্কের সফরও বটে। এই রাষ্ট্রীয় সফরে তাই কী কী অ্যাজেন্ডা থাকছে, তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২১ থেকে ২৩ জন তিনদিনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঐতিহাসিক সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সফরে হোয়াইট হাউসে একটি মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রী নৈশভোজে যোগ দেবেন। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘে এবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ঐতিহাসিক সফর ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই সফরেই উভয়ের সম্পর্ক আরো গভীরতা পাবে। নিজেদের সম্পর্ককে পরিমার্জিত করার সুযোগ দেবে এবারের রাষ্ট্রীয় সফর।
২১ জুন এই সফরের প্রথম দিনে জাতিসঙ্ঘের সদর দফতর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে অংশ নেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতি কাসাবা করোসি সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, “আমি আগামী সপ্তাহে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে জাতিসংঘে নবম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।
সেই টুইটের জবাবে নরেন্দ্র মোদী আবার লেখেন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনে আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষায় আছি। আপনার অংশগ্রহণ প্রোগ্রামটিকে আরও স্পেশ্যাল করে তুলবে। যোগব্যায়াম বিশ্বকে সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থতার দিকে নিয়ে যাবে এবং এটি বিশ্বব্যাপী আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।
সফরের দ্বিতীয় দিনে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকান আইনসভায় মার্কিন কংগ্রেসের সামনে দু’বার বক্তৃতা দেওয়া প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। এই আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে ধন্যবাদ জানিয়েচেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে পেরে সম্মানিত।
এরপর তৃতীয় অ্যাজেন্ডা হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ওইদিনই হোয়াইট হাউসে তাঁকে আনুষ্ঠানিক স্বাগত জানাবেন বাইডেন। প্রধানমন্ত্রী গত ১৩ জুন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন, তিনি পারস্পরিক স্বার্থরক্ষায় আলোচনার জন্য উন্মুখ।