“লক্ষ্মীর ভান্ডার-স্বাস্থ্যসাথী নাও পেতে পারেন”: মদন মিত্র
নিউজ ডেস্ক::অবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই হবে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। কিছুতেই আটকানো গেল না এই নির্দেশ। গতকালই সুপ্রিম নির্দেশ মেনে কেন্দ্রের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এদিকে তারপরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে প্রচ্ছন্ন হুমকি শোনা গেল মদন মিত্রের মুখে। তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘর জামাই করে দিন। এখানেই থাকবে। শেষ অবধি আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-স্বাস্থ্য সাথীর টাকা পাওয়া যাবে না। কারণ সব টাকা ওরাই খেয়ে নেবে।’
পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসাকে যে কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছে না শাসক দল সেটা আবারও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মদন মিত্রের কথায়। তিনি আরও বলেছেন, ‘ওরা আবার গোটা-গোটা খায়। আস্ত-আস্ত মাংস খায়। এত বড় বড় চেহারা।’ গতকাল বলাগড়ের একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র।
গত কয়েকদিন ধরেই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বািহনী মোতায়েন নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। মনোনয়নে হিংসার ঘটনা দেখে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও প্রবল আপত্তি জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোনও উদ্যোগ নেয়নি। উল্টে হাইকোর্টে এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু হাইকোর্ট সেই পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দেয়। এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ বহাল রাখে। শেষে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেখানে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই পঞ্চায়েত ভোট করানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় শীর্ষ আদালত।
সেই নির্দেশের পর গতকাল রাতে প্রতি জেলায় ১ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে রিকুইজিশন পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী অর্থাৎ ৯০ জন জওয়ান। এতে কতটা নিরাপদে ভোট করানো সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।