কেষ্টগড়ে ম্লান ভোটের মেজাজ

0 0
Read Time:2 Minute, 42 Second

নিউজ ডেস্ক::কেষ্ট নেই বীরভূমে। নীচুপট্টির বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির কার্যালয় শুনশান। দলের কারোর আনাগোনা নেই। কয়েকমাসের মধ্যে হঠাৎ বদলে গিয়েছে বীরভূমের ছবিটা। এই প্রথম অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া কোনও ভোট হচ্ছে বীরভূমে।

শোনা যাচ্ছে না কোনও খেলা হবে স্লোগান। নেই গুড় বাতাসা, ঢাকের চড়াম চড়াম স্লোগান। ২০১৩ সালেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছিল বীরভূমে। তখন দাপট দেখিয়েছিলেন কেষ্ট। গুড় বাতাসা থেকে ঢাকের চড়াম চড়াম বাজবে কোনও স্লোগান দিতেই বাকি রাখেননি তিনি।

কেন্দ্রীয় বািহনীর চোখের সামনেই দাপিয়ে ভোট করতে দেখা গিয়েছে বীরভূমের বেতাজ বাদশাকে। কিন্তু কালের নিয়মে এখন তিহাড় নিবাসী তিনি। মেয়ে সুকন্যাও রয়েছেন সেখানেই। কেষ্ট মণ্ডল দিল্লিবাসী হতেই কেমন যেন বদলে গিয়েেছ বীরভূমের ছবিটা।

পঞ্চােয়ত ভোট মানে উৎসবের মেজাজ থাকত কেষ্ট মণ্ডলের নীচুপট্টির বাড়িতে। দিনরাত গমগম করত অনুগামীদের ভিড়ে। তারপরে তো মিটিং মিছিল রয়েছেই। সেই নীচুপট্টির বাড়ি এখন জনশূন্য। কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীই রয়েছেন কেবল। কেষ্টর দলীয় কার্যালয়েও তেমন ভিড় নেই। মাঝে মধ্যে পতাকা নিয়ে আগমন ঘটছে গুিট কয়েক অনুগামীর। তাঁদেরও কাজে তেমন মন নেই।
একুশের ভোটের আগে কেষ্ট মণ্ডলের খেলা হবে স্লোগান যাকে বলে বিপ্লব এনে দিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। বাংলার গোণ্ডি পেরিয়ে তার জনপ্রিয়তা পৌঁছে গিয়েিছল ভিনরাজ্যেও। কিন্তু এবার কেষ্টর নিজের গড়েই শোনা যাচ্ছে না খেলা হবে স্লোগান। দলনেত্রী যদিও আজও অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূমে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরাননি। তবে কেষ্টকে বাদ দিয়েই যে বীরভূমে সংগঠন সাজাতে শুরু করেছেন তিনি তার ইঙ্গিত মিলেছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!