সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ
নিউজ ডেস্ক::নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট বলছে বীরভূমে ৩০ শতাংশ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৭.২ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতে গেছে?
অসম্ভব কিছু না গতবার এই জেলাগুলোতে নমিনেশন প্রায় ছিলই না। বীরভূমের একটা ব্লকে আহমেদপুরে আমরা করেছিলাম প্রায় দেড়শ সেখানে আশিটা জিতে ছিলাম। বাকি পুরো জেলাতে ১১ টা বিধানসভায় নমিনেশন করতে দেওয়া হয়নি।আর যদি ওখানে ষাট ৭০% হয় ও তাহলে অনেক বড়ো অচিবমেন্ট মনে করতে হবে বিরোধীদের। দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুরোটাই উপদ্ধৃত ডায়মন্ড হারবার থেকে আরম্ভ করে ফলতায় তো মোটেই কাউকে করতে দেয়নি একটাও। মগরাহাট থেকে আরম্ভ করে ভাঙ্গড় ক্যানিং সব থেকে বেশি হিংসা হয়েছে এইসব জায়গাগুলিতে। এক একটা গুন্ডা তাদেরকে আবার সিকিউরিটি দেওয়া হয়ে গেছে। সুতরাং এখানে কাউকে করতে দেওয়া হয়নি। বাকি কিছু জায়গায় ভয় দেখে উইথড্র করে নেওয়া হয়েছে। বাকি জায়গায় বিরোধীরা নমিনেশন করেছে লড়াই পুরোপুরি হবে।
নওশাদ সিদ্দিকী বলছেন আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিধায়ক মানুষের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে তাই হয়তো শাসক ভয় পেয়েছে?
নিঃসন্দেহে সেতো সংখ্যালঘুদের ভোটেই জিতেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কেউ যদি জিতে আসে তাকে তো স্বীকৃতি দিতে হবে তাকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে যেহেতু সংখ্যালঘু ভোট কেটেছে। তাই প্রথম থেকে তার উপর অত্যাচার হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের শক্ত ঘাঁটি বিজেপির। ধুপগুড়িতে বিজেপি বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও এই বুথে প্রার্থী দিতে পারল না বিজেপি?
বিভিন্ন বুথেতে যে রিজার্ভেশন হয়েছে তার জন্য অনেক জায়গায় সমস্যা হয়েছে। আমি আমার মেদিনীপুরে দেখেছি জেনারেল যারা আছেন তাদের জন্য কোন সিটি বাঁচেনি একটা বিধানসভা তে চার পাঁচটা অঞ্চল বা জেলা পরিষদে একটা দুটো মাত্র জেনারেল সিট আছে। হয় মহিলা রিজার্ভ নইলে এস সি এস টি ও বি সি রিজার্ভ। ফলে বেশিরভাগ আমাদের যারা পুরনো কর্মী তারা টিকিটই পায়নি অনেক জায়গায়। শেষ মুহূর্তে কোথাও এসেছি মহিলা এসটি মহিলা হয়ে গেছে ফলে সেখানে ক্যান্ডিডেট পাওয়া যায়নি, পাওয়া গেলেও তার সার্টিফিকেট হয়নি ঠিকমত এরকমই বিভিন্ন কারণে তে সব পার্টির কিছু না কিছু সমস্যা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এবার রাজ্যে নির্বাচন কমিশন কিছু কড়া ভূমিকা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন গুলোকে বলছে এমনভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করতে হবে যাতে সামনে থেকে দেখা যায়?
এত লড়াই করে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসেছি তারপরে যদি ঠিকমতো নিয়োগ না হয় তার ডিপ্লোয় না হয় তাহলে কোন লাভ নেই। আর যদি রাজ্য পুলিশের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয় ঠিক রাজ্য পুলিশ যেরকম অকোম্মা তাদেরকেও সেরকম অকোম্মা করে বসিয়ে রাখবে এর আগে অভিজ্ঞতা আছে ১৩ সালের। সেন্ট্রাল ফোর্স এর জন্য আলাদা অবজারভার রাখা উচিত এবং কোর্ট থেকে তার উপরে অবজারভেশন হওয়া উচিত।
মুর্শিদাবাদ এর রানী নগরে ব্যাপক বোমা বাজি….
ওতো রোজই হয় নতুন কিছু না। রানীনগর থেকে আরম্ভ করে মুর্শিদাবাদ জেলা ওরকম উপদ্বিত কোচবিহার জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম মালদা এ সব সময় চলতেই থাকে আর পুলিশের সামনেই হয়। সেই জন্য এই রাজ্য সরকার যদি মনে করে বোমা বন্দুক বন্ধ করবে দুদিনে বন্ধ হতে পারে। তারাই চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে তাদের রাজনৈতিক লাভ হয় সেই জন্য বন্ধ হচ্ছেনা।
পুরুলিয়ার আদ্রায় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে?
এটা তো চিন্তার বিষয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন তার পুলিশের উপর আস্থা রয়েছে তাহলে তার পার্টির লোকেদের হত্যা করছে কি করে তারমানে পুলিশ একেবারে অকম্মা হয়ে গেছে। পার্টি অফিসের ভিতরে এসে গুলি করে চলে যাচ্ছে এটা তো এখন বলে নয় ওই সমস্ত কয়লা এলাকায় মাফিয়াতে দৌড়াতে চলতেই থাকে। পুলিশ প্রশাসন কি করছে প্রশ্ন উঠছে আর মমতা ব্যানার্জি তাদেরকে আগলে রাখার চেষ্টা করছে।
সৌদিতে থাকা তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন…
যে লোকটা দেশেই নেই তার নমিনেশন কি করে হলো। আদালত যেহেতু পুরো বিষয়টা দেখছেন এটা বিশেষভাবে তদন্ত করা উচিত। টিএমসির লোকেরা গোছা গোছা ব্যালট নিয়ে এসে একসাথে গোছা গোছা জমা দিয়ে দিয়েছে আর না দেখে সব সে লোকও যায়নি নমিনেশন হয়ে গেছে। না হলে একদিনে 40000 নমিনেশন কি করে হয় এই প্রশ্ন প্রথম থেকেই ছিল এখন বোঝা যাচ্ছে কত বড় গ্যাপ হয়েছে নির্বাচন কমিশনার কত বড় অযোগ্য। কোনরকম না দেখে টিএমসির কথাতেই সব করেছে।
সোমবার থেকে প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে জনসভা করবেন তিনি…
মমতা ব্যানার্জি তো পঞ্চায়েতে প্রচার করেন না মিউনিসিপ্যালিটিতে ও প্রচার করেন না। আজকে কি এমন অবস্থা হল যে তাকে রাস্তায় নেমে প্রচার করতে হচ্ছে। এমনকি ভাইপোর উপরে ভরসা রাখা যাচ্ছে না। তার মানে কি শেষ নির্ভর ওটাই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে পঞ্চায়েত থেকে পার্লামেন্ট সব লড়তে হবে। এই দুর্দশা কেন পুলিশ গুন্ডা সব নিয়েও জিততে পারছেন না।