প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা
নিউজ ডেস্ক::আজ বিকেলে নিবার্চন কমিশনার রাজীব সিনহার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন,উনি রাজ্যপালোর ডাককে বার বার উপেক্ষা করছেন কেন জানি না। টিএমসি নেতারা সিবিআইকে এড়িয়ে যাচ্ছেন গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে। কিন্তু ওনার কিসের ভয়? পদ খাওয়ানোর ভয় কি? দু'জনেই সাংবিধানিক পদে আছেন। ওনার উচিত রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পশ্চিমবঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন করানো। তবে ওনার উপর কোনো চাপ আছে বলেই হয়তো উনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করছেন না।
কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন,কেন্দ্রীয় বাহিনী আটকানোর জন্য উনি কেন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন? এখন বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ডেকেছেন অথচ তাঁদের থাকার কোনো জায়গা ঠিক করেন নি। কোনো ব্যবস্থাই করেন নি। এটা হবে কেন?
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি,কোচবিহার দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করছেন? সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন,উনি তো পঞ্চায়েত প্রচারে নামেন না। ওনার লক্ষ তো প্রধানমন্ত্রিত্ব। উনি লোকসভা, বিধানসভায় প্রচার করেন। তাহলে এবার কি এমন হলো যে ওনাকে নামতে হচ্ছে? আসলে নবজোয়ার করতে গিয়ে বুঝেছেন, গ্রামে ওনাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই বাধ্য হয়ে উনি নামছেন।
এখন পর্যন্ত তৃণমূল ৫৬ জন বিদ্রোহী প্রার্থীকে সাসপেন্ড করেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন,ওটা কিছু নয়। ওদের মধ্যে যদি কেউ জিতে যায়, তাদের আবার দলে ফিরিয়ে নেবে।সবটাই লোক দেখানো।
মিথ্যে মামলায় বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। সময় আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিএমসির সবচেয়ে বেশি জয় এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এই প্রসঙ্গ আসলে তিনি বলেন,এবার কেন টিএমসি দেড় হাজারের বেশি সিটে ক্যান্ডিডেট দিতে পারে নি? কারণ মানুষ ওদের থেকে সরে যাচ্ছে। এ বছর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী প্রার্থীর সংখ্যা কম। কারণ বিরোধীদের সম্মিলিত প্ৰতিবাদে এবার আর ততটা সাহস পায় নি টিএমসি।