প্রাতঃভ্রমনে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাংবাদিকদের কথা
নিউজ ডেস্ক::মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বিভিন্ন বিষয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
1) অভিষেকের সভার আগে উত্তপ্ত ডোমকল । সিপিএম – তৃণমূল সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৪ তৃণমূল কর্মী ।
রোজকারী খবর যত ইলেকশন এগিয়ে আসবে মারপিট গুলি বন্দুকের আওয়াজ বাড়বে টিএমসি করার যেসব কারণ এছাড়া রাস্তা নেই জেতার মমতা ব্যানার্জি বুঝতে পেরেছেন যে পার্টির সঙ্গে লোকেরা নাই কর্মীরাও বেরোচ্ছে না নির্দল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে
2) ডোমকলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সভার দিনই বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে পাল্টা সভা ডেকেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুণ কবীর ।
একাধিক বিধায়ক পার্টির বিরুদ্ধে স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন কে কার ক্যান্ডিডেট হবে সেই নিয়ে চিন্তা এসব চলবে কয়দিন তারপর ঠিক হয়ে যাবে
3) পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা অব্যাহত । এবার পটাশপুরে দলীয় পতাকা বাঁধা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর। ঘটনায় একট বিজেপির কর্মীর চোখে আঘাত ।
এটা বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে প্রচার করতে গিয়ে ঝান্ডা বাধতে গিয়ে গন্ডগোল মারপিট হচ্ছে, একাধিক জায়গায় খবর আসছে। তৃণমূল কংগ্রেস নমিনেশন আটকাতে পারিনি নমিনেশন উঠাতে পারিনি প্রচারে আটকাবে ভোটে গন্ডগোল করার চেষ্টা করবে
4)ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে ক্যান্সার আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীকে পুলিসের মারধর।জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতো, পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি প্রার্থী, বেধড়ক মারধর কর্তব্যরত পুলিসকর্মীর
যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস আটকাতে পারছে না সেখানে পুলিশ দিয়ে আটকাবার চেষ্টা চলছে একাধিক জায়গায় আরামবাগেও পুলিশ লাঠি চালিয়েছে বিনা কারণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে অশান্ত করার সব রকম চেষ্টা তৃণমূল কংগ্রেস করছে যাতে মানুষ না বেড়াতে পারে
5) আজ বিজেপির সংকল্প পত্র প্রকাশ, দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত শ্লোগানকে সামনে রেখে এই সংকল্প পত্র
আজকে পার্টির প্রেস কনফারেন্স আছে সেখানে পার্টির সংকল্প পত্র প্রকাশিত হবে কোন পার্টি এখনও করেনি আমরা আগে রেডি করে ফেলেছি আমরা লোককে জানাতে চাই বিজেপি ক্ষমতা এলে কি করবে কারণ সব পার্টিকেই তো লোকেরা দেখে নিয়েছেন বিজেপি এবার বাংলাকে পরিবর্তন করতে চাই সেই মেসেজ তাই আমরা নিতে চাই
6) কমিশন VS কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক- ‘বাহিনী নিয়ে আমাদের কোনও চাহিদা নেই’, ‘সবটাই ছাড়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওপর’ , ‘তাদের মতো বাহিনী পাঠানোর জন্য জানিয়েছে কমিশন, জানান হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে.
৮০০ কম্পানির বেশি বাহিনী আসবে এটাতো এক জায়গায় নেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় রিপ্লাই করা থাকে সেখান থেকে ওরা আসবে ট্রেনে করে গাড়ি করে আর যত সময় পৌঁছাবে যেহেতু কোড নির্দেশ দিয়েছে সবকিছু ঠিকমতো হবে
7) রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে এক দফাতেই!শিলিগুড়িতে এমনই ইঙ্গিত রাজ্যপালের, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চাই’, ‘স্পর্শকাতর এলাকাগুলো পরিদর্শন করব’, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্তব্য রাজ্যপালের
এই যে হিংসার পরিবেশ ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষ চিন্তায় আছে ভোট দিতে পারবেন কিনা কোট পর্যন্ত বলে দিচ্ছেন ভোট বন্ধ করে দেওয়া হোক তো সেই সময় গভর্নর নিজে গিয়ে সাধারণ সমাজে মিশছেন যেখানে গন্ডগোল মারপিট হয়েছে সেখানে নিজে পৌঁছে যাচ্ছেন সরকারি এম এল এ রা পার্টির নেতারা টিএমসির গন্ডগোল করছেন তার পার্টির সরকার থেকে কোন ব্যবস্থা নেই কিন্তু গভর্নর গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করে হিম্মত দিচ্ছেন সুতরাং তাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। ভোট একদিনে হবে কি চার দিনে হবে সেটা সমস্ত পার্টিকে ডেকে কথা বলে ঠিক করা উচিত
8) পঞ্চায়েত ভোটে আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার টোপ মুখ্যমন্ত্রীর , গতকাল কোচবিহারের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন- আগে নিয়ম ছিল পরিবারের যার নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে এবং তার ২৫ বছর বয়স হলে সে তার ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভান্ডারের ৫০০ টাকা পাবে । কিন্তু এখন নিয়ম পাল্টে গেছে ২৫ বছর বয়স থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত পরিবারের সব মহিলাই লক্ষ্মীভাণ্ডার পাবে । একটি পরিবারে ৪ জন মহিলা থাকলে ৪ জনই পাবে। …….. পঞ্চায়েতে ভোট পেতে কি তবে মহিলাদের লক্ষ্মীভাণ্ডারের নাম করে টাকা দিচ্ছে তৃণমূল সরকার ?
মমতা ব্যানার্জি এসব লোক দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে ছাড়া ভোট নিতে পারবেন না তাই প্রত্যেকবার ভোটেরে নতুন নতুন দাণ খয়রাতের কথা বলবেন আর অনেক লোক তাতে প্রলুব্ধ হয়ে যান কিন্তু ৫০০ টাকা মাসে পাব এমনি তো কিছু দেয়না পঞ্চায়েত সেই জন্য গতবার বিধানসভাতে ভোট দিয়েছে এবার হয়তো কেউ দেবে তারাও জানেন না পাঁচ বছরে একবার ৫০০ টাকা নিলে আর সারা বছর এবং পাঁচ বছর কিছুই পাবেন না রাস্তাঘাট জলবিদ্যুৎ চাকরি বাকরি থেকে শুরু করে কোন অবস্থায় হবে না ৫০০ টাকা ঘুষ নিয়েই বসে থাকো আর ছেলেরা বেকার ঘুরে বেড়াবে
9) কোচবিহারে ভোট প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। বিএসএফ ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি সবসময় আশঙ্কা প্রকাশই করেন ভয় পান আর ভয় দেখান ভোট এলে মুসলমানদের বলবেন এন আর সি হয়ে যাবে তোমাদের তাড়িয়ে দেবে বিজেপি ওখানকার স্থানীয় মানুষদের বলবেন বিএসএফ আসবে বিএসএফ কোন সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যায় না তারা সাধারণ মানুষকে প্রটেকশন দেয় মাগলার গরু পাচার করে শোনা প্রচার করে বর্ডারে তাদের বিরুদ্ধে বিএসএফ ব্যবস্থা নেয় সুতরাং সাধারণ মানুষের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই।