দল বদলের খেলা -‘এ খেলা চলছে নিরন্তর’
নিউজ ডেস্ক::গত কয়েক বছর ধরেই বাংলার রাজনীতিতে জামা বদলের মতো দল বদলের খেলা শুরু হয়েছে। সেই খেলার শেষ নমুনা দেখা গেলো পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে। শাসকদলে টিকিট না পেয়ে সোজা বিজেপিতে।পেয়েছেন বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিটও। আর তা দেখে ক্ষুদ্ধ বিজেপি কর্মীরা। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখিয়ে রাম ভক্তরা এবার বামে।পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে জটিল ও অদ্ভুত রাজনীতির মেরুকরণ । পঞ্চায়েত নির্বাচনে আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের অমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ নম্বর বুথে এবার শাসকদলের প্রার্থী বদল হয়েছে।
পঞ্চায়েত সদস্যা সোমা আঁকুড়ে টিকিট না পেয়ে তিনি চলে যান বিজেপিতে। বিজেপিতে।বিজেপিও তাকে রাতারাতি ১৭ নম্বর বুথের প্রার্থী করে দেয়।আর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছে রেখা বাগদি। সিপিএমের প্রার্থী শিউলী বাগদি। ১৭ নম্বর বুথে এবার ত্রিমুখী লড়াই। কিন্তু কর্মীদের প্রতিক্রিয়া ভালো নয়।
সোমা আঁকুড়েকে বিজেপি প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ অমরপুর অঞ্চলের বিজেপির ১৭ নম্বর বুথ সভাপতি সঞ্জয় দাস সহ কর্মীদের একাংশ দল ছেড়েছেন।তারা এখন তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিয়েছেন। প্রাক্তন বিজেপি বুথ সভাপতি সঞ্জয় দাস সহ দলত্যাগী কর্মীরা এখন সিপিএমের হয়ে এলাকায় প্রচার করছেন। দেওয়াল লিখছেন। এই নতুন কালচার রাজ্যের রাজনীতিকে যে কলুষিত করছে তাতে সন্দেহ নাই। তৃণমূল ও সিপিএম এলাকায় জোরকদমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছে।
সেভাবে প্রচারে যাচ্ছেন না বিজেপি প্রার্থী সোমা আঁকুড়েকে।তিনি বলেন,আমি ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে জিতেছিলাম। কিন্তু এবার দল আমাকে টিকিট দেয় নি।তাই আমি বাধ্য হয়ে বিজেপিতে যোগদান করি।বিজেপি আমাকে ১৭ নম্বর বুথে প্রার্থী করেছে। আমি দল করতে ভালোবাসি। আদর্শহীন, দিশাহীন এই রাজনীতির কাঁদায় এখন ডুবতে চলেছে বঙ্গ রাজনীতির কলা-কুশলীরা।