একাধিক দাবিতে সাংসদকে বিক্ষোভ
নিউজ ডেস্ক::নগরী,খয়রাশোল,চিনপাই এর পর এবার মহম্মদবাজার ব্লকের সেকেণ্ডা ও দীঘলগ্রামে বিক্ষোভের মুখে বীরভূম লোকসভাকেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় । দ্বারকা নদে ব্রীজ,বিদ্যালয়ে শিক্ষক, দীর্ঘদিন মেরামত হয় নি রাস্তার,সংস্কার হয় নি নর্দমার ফলে বেহাল অবস্থা রাস্তা নর্দমার । দ্বারকা নদে ব্রীজ, বিদ্যালয়ে শিক্ষক,রাস্তা সারাই এবং নর্দমা সংস্কারের দাবিতে সোমবার তেসরা জুলাই সকালে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মহম্মদবাজার ব্লকের সেকেণ্ডা ও দীঘলগ্রামে গেলে সাংসদ শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা । দ্বারকা নদে ব্রীজ এবং বিদ্যালয়ে শিক্ষকের দাবিতে সেকেণ্ডা গ্রামে সাংসদ শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা ।
বিক্ষোভকারী আব্দুল রব বলেন, “পাঁচ বছরের সুখ দু:খের কথা কাকে বলবো ? ভোটের আগে আঠারোবার করে হাতজোড় করে আসে ভোটে জিতে চলে যায় তারপর আর আসে না । এরা কি পরিযায়ী পাখি ? এলাকার সমস্যার কথা স্পিকারকে বলেছেন সেই কপি যেটা স্পিকার দেন সেটা দেখতে চাইলাম তখন সাংসদ বললেন মোবাইল দেখতে হবে । তখন আমি বললাম আমি ওতো শিক্ষিত নই। ওনাদের গলদ আছে । লোকসভার স্পিকারকে বলেই নি সমস্যার কথা । উনি আসাতে ওনাদের আরো ভোট কাটতে যাবে ।” শেখ ইকিত বলেন, “পাঁচবছর পরপর ভোটের সময় আসে । দ্বারকা নদে ব্রীজ হলে বাইশটা গ্রামের মানুষের উপকার হবে । উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক নেই । শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে চারটে ক্লাস একজন মাত্র শিক্ষক ।
আঙ্গারগড়িয়া বাসে ভাড়া সাত টাকা কিন্তু টোটো ভাড়া কুড়ি টাকা । দুটো বাস ছিল সেগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জং ধরে গিয়েছে । আমরা দীর্ঘদিন ধরে তৃনমূল করেছি তবুও গ্রামের উন্নতি হয় নি তাই বাধ্য হয়ে এখন সিপিএম করি ।” দীঘলগ্রামের আসরুবা বিবি বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধানকে তিনবার বলা সত্ত্বেও আমার বাড়ীর সামনের নর্দমা ঝালাই হয় নি । নর্দমা ঝালাই করার জন্য তিনবার টাকা এসেছিল মেম্বার খেয়ে নিয়েছে । নর্দমা ঝালাই করার জন্য শতাব্দী রায়কে বললাম ।” দুবরাজপুর বিধানসভাকেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, “সাংসদ হওয়ার পরে মানুষের জন্য কিছু করেন নি । এই লোকসভাকেন্দ্রের সমস্যার কথা লোকসভায় তোলেন নি । পঞ্চায়েতে তৃনমূল ক্ষমতায় থাকার পরেও গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি,জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা মানুষের কাছে যাই নি ।”