ফের উত্তপ্ত সামশেরগঞ্জ
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ। কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। অভিযোগ খোদ তৃণমূল বিধায়কের সামনেই এই গুলি চলে বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার তিনপাকুরিয়া এলাকায়।
কংগ্রেসকর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। জখম কংগ্রেস কর্মীকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহরমপুরে রেফার করা হয়েছে তাঁকে। গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস-কর্মী আরিফ শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
এই গুলি-কাণ্ডের পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সরাসরি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। আবার তৃণমূল পাল্টা অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে কংগ্রেসের দিকেই। এই ঘটনার প্রতিবাদে সামশেরগঞ্জের পুরাতন ডাকবাংলোররাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকরা।
কংগ্রেস ব্লক সভাপতি ইমাম শেখের অভিযোগ, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই হামলা চলে। তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছেন এই গুলি চালানোর ঘটনায়। মোটর বাইকে চেপে তিনজন দুষ্কৃতী এসে গুলি করে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি আমরা।
সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী কার্যালয়ে বৈঠক করে ফেরার পথে কংগ্রেস-আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী জেলা পরিষদের প্রার্থী আনারুল হকের নেতৃত্বে আমার গাড়িতে হামলা করে। এক রাউন্ড গুলি করে। আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন আমাদের কর্মীরা।
তিনি বলেন, সামসেরগঞ্জের মাটিতে কংগ্রেস অশান্তি করছে এবং বিভেদ তৈরি করছে। সন্ত্রাসের ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। কংগ্রেস কর্মীরা বোমা বাঁধার সময়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ৮ই জুলাই নির্বাচনে একটি অশান্তি তৈরি করতে চাইছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতৃত্বে সামশেরগঞ্জ অগ্নিগর্ভ হবে বলেও অভিযোগ করেন বিধায়ক।
যদিও কংগ্রেসের জেলা পরিষদের প্রার্থী আনারুল হক বলেন, পথসভা শেষ করে তারা ফিরছিলেন, সেইসময় মোটরবাইকে করে আসা কয়েকজন দুষ্কৃতী আমাদের কংগ্রেসকর্মীকে গুলি করে। বিধায়ক আমিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ও তাঁর নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা চাই বিধায়ককে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।