জেলা সভাধিপতির এলাকায় হারল তৃণমূল

0 0
Read Time:4 Minute, 56 Second

নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্যে দুর্নীতি-সহ নানা ইস্যুকে হাতিয়ার করে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছিল সিপিআইএম। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও তোলে।

পূর্ব বর্ধমানে দুশোর বেশি আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্বস্থলী উত্তরে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিয়েছে বিজেপি। একদা লাল দুর্গে সিপিআইএমের শিবরাত্রির সলতে বলতে রায়নার পলাশন গ্রাম।

জেলার এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই একমাত্র উড়েছে লাল আবির। ১৮ টি আসনের মধ্যে ১০টি অসনে জিতে সিপিআইএম বোর্ড গঠন করবে। তৃণমূল কংগ্রেসকে থামতে হয়েছে আটটিতে। রায়নাও একটা সময় ছিল বামেদের শক্ত ঘাঁটি। সেখানেই একমাত্র জয় কমিউনিস্টদের উজ্জীবিত করেছে।

১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রায়নায় সিপিআইএম ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ, প্রাণহাণি লেগেই থাকতো। ২০১১ সালে সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই রায়নায় বাড়তে থাকেঘাস-ফুল। এমনও সময় আসে যে, রায়না ১ নং ব্লকের সব গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি সিপিআইএমের হাতছাড়া হয়।
যদিও ক্রিজ আঁকড়েই থাকেন বাম নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফায়দা কীভাবে তোলা যায় তা নিয়ে চলতে থাকে নিপুণ পরিকল্পনা। আর তাতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রায়নার পঞ্চায়েতগুলি দখলের জন্য প্রত্যয়ী হন বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। সব জেতা হয়নি। থামতে হয়েছে একটি জিতেই। যদিও সেটিই যে বড় অক্সিজেন।

সবচেয়ে বড় কথা এই রায়না থেকে জিতেই বিধানসভায় গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। রায়নার বাসিন্দা তথা সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মীর্জা আকতার আলি বলেন, চুরি ও দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়াতে বাম প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য আমরা রায়নাবাসীর কাছে আবেদন রেখেছিলাম। মানুষ তাতে সাড়া দিয়েছেন।

পলাশন গ্রামে সিপিআইএমের আসন আরও বাড়ত বলেও দাবি বাম শিবিরের। তৃণমূলের লোকজন হার স্বীকার করে চলে যাওয়ার পরেও বিডিও-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা পুনরায় ভোট গণনা করিয়ে সিপিআইএমের বৈধ ভোট বাতিল করে সামান্য ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
সিপিআইএমের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, আমাদের আসন কমিয়ে ৮ করে ওদের আসন ১০ করার ফন্দি আঁটা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের কর্মী-সমর্থকরা সেই অপচেষ্টা প্রতিরোধের বার্তা দিতেই শেষ অবধি দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা আমাদের কর্মীদের ছাড়া হয়। আমরা বোর্ড বোর্ড গঠনের সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছি।

সিপিআইএম শিবিরের দাবি, একাধিক পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারতো। কিন্তু নানা অজুহাতে বাম প্রার্থীদের পাওয়া ভোট বাতিল করা হয়েছে। ৫ থেকে ১০ ভোটেও সিপিআইএম প্রার্থীদের হারানো হয়েছে। গণনা কেন্দ্রে পুলিশ-প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করেনি বলেও অভিযোগ করেন।

পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের রায়ে উজ্জীবিত হয়ে লোকসভা ভোটে আরও জোরদার লড়াইয়ের সংকল্প সিপিআইএমের। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, রায়নার একটা গ্রাম পঞ্চায়েত পেয়ে সিপিআইএমের উৎফুল্ল হওয়ার কিছু নেই। তবে তৃণমূলের হারের কারণ নিয়ে দলীয় স্তরে আলোচনা হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!