তৃণমূলকে ২০০৮ মনে করালেন সুকান্ত
নিউজ ডেস্ক::পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার। বিরোধীরা ভোটকে প্রহসন বলছে। মনোনয়ন পর্ব থেকে হিংসা, প্রাণহানি, ভোট লুঠের ঘটনায় বাংলা অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার সাক্ষী বলে দাবি সুকান্ত মজুমদারের।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি আজ বলেছেন, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষভাবে ভোট হলে বিজেপির আসন কয়েক গুণ বাড়তো। যদিও যেভাবে নির্বাচন হয়েছে তাতে বিজেপির আসন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানালেন সুকান্ত।
আজ বালুরঘাটে তিনি বলেন, বাংলা ভোট লুঠে এগিয়ে। বিডিওরা তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্টের মতো কাজ করেছেন। বিডিওদের সঙ্গে থানার আইসিদের যৌথ প্রযোজনায় ভোট লুঠের পরেও আমরা দশ হাজারের কাছাকাছি আসনে জিতছি (সাংবাদিক বৈঠকের সময় অবধি বিজেপির ৯৫১৩টি আসনে জয়ের খবর ছিল)।
সুকান্ত বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৫৭৭৯টি আসনে জিতেছিল। ফলে আসন বৃদ্ধির সংখ্যা দ্বিগুণ। অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুন্ডারা রাস্তায় ভয়ঙ্করভাবে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। ছাপ্পা ভোট চলেছে ভোটের দিন। বাক্স বদল-সহ কিছুই বাদ ছিল না। দলের কর্মীদের ধন্যবাদ জানাব তাঁরা বন্দুক, বোমার সামনে মাথা নত না করে, লড়ে দলকে প্রায় ১০ হাজার আসনে জিতিয়েছেন।
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার বড় ধাক্কা খেয়েছিল ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। তারপর ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে। সুকান্ত সে কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, এবারও আমরা এত বাধা, সন্ত্রাসের মধ্যেও ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছি। তৃণমূল কংগ্রেসও ২০০৮ সালে পেয়েছিল ২৫ শতাংশ ভোট।
সুকান্ত বলেন, আমরা আশ্বস্ত মানুষ আগামী দিনে এই সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন।