দেশে মুদ্রাস্ফীতি ফের ঊর্ধ্বগামী
নিউজ ডেস্ক::খাদ্যদ্রব্যের বেশি দামের কারণে জুনে ভারতের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি লাফিয়ে ৪.৮১%-এ পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার পরিসংখ্যান মন্ত্রকের তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সাধারণভাবে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স দ্বারা এর পরিমাপ করা হয়।
মে মাসে দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৪.৩১ শতাংশে। তবে জুনের মুদ্রাস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সহনশীলতার সীমার মধ্যেই ছিল। এর আগে অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন এই পরিসংখ্যান ৪.৬-এর আশপাশে থাকতে পারে। তবে তার থেকে কিছুটা বেশই হয়েছে সরকার প্রকাশিত পরিসংখ্যান।
অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা ২০২৩-এর জুলাইয়ে সবজির দাম বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতিকে ৫.৩-৫.৫ শতাংশের মধ্যে ঠেলে দেবে। যা আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পূর্বাভাস ৫.২ শতাংশকে ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এখানেই শেষ নয় অগাস্টেও মুদ্রাস্ফীতির সুর বজায় থাকবে।
অন্যদিকে মে মাসে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের উপসূচক কনজিউমার ফুড প্রাইস ইনফ্লেশন ২.৯১ শতাংশ থেকে জুনে ৪.৪৯ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতি মে মাসে ৪.১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪.৭১ শতাংশ হয়েছে। ওই একই সময়ে শহুরে মুদ্রাস্ফীতি ৪.২৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪.৯৬ শতাংশ হয়েছে।
এর বিপরীতে জ্বালানি মুদ্রাস্ফীতি মে মাসে ৪.৬৪ শতাংশ থেকে কমে জুনে ৩.৯২ শতাংশ হয়েছে। আবাসন মুদ্রাস্ফীতি ৪.৮৪ শতাংশ থেকে কমে ৪.৫৬ শতাংশ হয়েছে। পোশাক ও জুতোর মুদ্রাস্ফীতি মে মাসে ৬.৬৪ শতাংশ থেকে জুনে ৬.১৯ শতাংশ হয়েছে। ডালের মুদ্রাস্ফীতি মে মাসে ৬.৫৬ শতাংশ থেকে বেড়েজুনে ১০.৫৩ শতাংশ হয়েছে।